বিচারকের গাড়ি ভাঙার অভিযোগে সাজার পরিবর্তে মানবিক বিচার
রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহা: হাসানুজ্জামান

বিচারকের গাড়ি ভাঙার অভিযোগে সাজার পরিবর্তে মানবিক বিচার

রাজশাহীতে তিন কিশোরের বিরুদ্ধে পাথর ছুড়ে বিচারকের গাড়ির কাঁচ ভাঙার অভিযোগ ওঠে। তবে এ ঘটনায় মানবিকতার পরিচয় দিলেন বিচারক। সাজার পরিবর্তে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার শর্তে তিন কিশোরকে দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বিমান যোগে রাজশাহী পৌঁছান রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহা: হাসানুজ্জামান। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে প্রাইভেট কারে নগরীর বাস ভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

বিমানবন্দর এলাকা পার হলে তাঁর গাড়ির সমানের কাঁচে পাথর নিক্ষেপ করেন দুর্বৃত্তরা। এতে গাড়ির কাঁচ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অক্ষত ছিলেন আরোহীরা।

সেসময় ওই সড়কের ডিভাইডারে দাঁড়িয়ে থাকা সন্দেহভাজন তিন কিশোরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেন বিচারকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গানম্যান।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সন্দেহভাজন হিসেবে ওই তিন কিশোরকে হাজির করে পুলিশ। আদালত সন্দেহভাজন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষক ও ঘটনার প্রাথমিক খোঁজখবর নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তাকেও তলব করেন।

তাঁদের বক্তব্য শোনেন এবং ভুক্তভোগী বিচারক নিজে ঘটনার আদ্যোপান্ত তুলে ধরার পাশাপাশি রায়ও দেন। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার শর্তে দায় থেকে অব্যাহতি দেন।

একইসঙ্গে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় সন্দেহভাজন শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে আগামী ছয় মাস পর্যন্ত থানায় আচরণগত পরিবর্তনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।