আইন ও আদালত
আইন ও আদালত

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন: বিচারাঙ্গনে যা ঘটতে যাচ্ছে

মারুফ আল্লাম: ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে এবং ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর হয়েছে। এতদিন যাবত ভূমি সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাগুলো দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৩৭৯/৪৪৭/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ প্রভৃতি ধারার অধীনে দায়ের হতো। নতুন আইনে ভূমি সম্পর্কিত অপরাধগুলোকে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই আইনটি দৃশ্যত ফৌজদারি প্রকৃতির বলে মনে হলেও এখানে ‘দেওয়ানি’ প্রতিকার প্রদানের পাশাপাশি ‘দেওয়ানি আদালত’-এর এখতিয়ার বৃদ্ধিরও চেষ্টা করা হয়েছে। এই আইন কার্যকর হলে বিচারাঙ্গনে কী ঘটতে যাচ্ছে, সেটি নিয়ে এই লেখা।

১. ভূমি সম্পর্কিত ‘প্রতারণা’ ও ‘জালিয়াতি’র অপরাধ ‘জামিনঅযোগ্য’ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে

ভূমি সংক্রান্ত প্রতারণা/ জালিয়াতিকে আইনের ৪ ও ৫ ধারায় সুনির্দিষ্টভাবে দণ্ডনীয় করা হয়েছে। প্রতারণা সম্পর্কিত দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা ‘জামিনযোগ্য’। নতুন আইনে ভূমি সম্পর্কিত প্রতারণাকে ‘জামিনঅযোগ্য’ করা হয়েছে (ধারা ১৯)। এই আইনের প্রায় সব অপরাধের বিচারে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের যুগপৎ এখতিয়ার (concurrent jurisdiction) প্রদানের সুযোগ রাখা হলেও ভূমি সম্পর্কিত প্রতারণা (ধারা ৪) ও জালিয়াতির (ধারা ৫) বিচারের এখতিয়ার ন্যস্ত করা হয়েছে কেবল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ওপর (ধারা ১৯ ও ২২)। এছাড়াও দখল উদ্ধারের ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ কেউ অমান্য করলে তার বিচার করার এখতিয়ারও থাকবে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে (ধারা ১৫ ও ২২)।

২. দলিল বাতিলের মামলায় বিচারপ্রার্থীদের দেওয়ানি আদালতে আর যেতে হবে না

দলিল বাতিলের মামলা এখন থেকে দেওয়ানি আদালতে দায়ের করার আর কোনো প্রয়োজন পড়বে না। কারণ প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত/ প্রস্তুতকৃত দলিলের বিরুদ্ধে এই আইনের ৪ ও ৫ ধারায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলা করা যাবে। বিচার শেষে কোনো দলিল ‘প্রতারণামূলক’ বা ‘জাল’ মর্মে সাব্যস্ত হলে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট যেকোনো কর্তৃপক্ষকে (যেমন সাবরেজিস্ট্রার) সংশ্লিষ্ট নথি বা রেজিস্টারে নোট দেওয়ার আদেশ প্রদান করবেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ধারা ৬)।

আগে প্রতারণামূলক/ জাল দলিলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে মামলা করার পাশাপাশি দেওয়ানি আদালতেও আরেকটি মামলা করতে হতো। কারণ দলিলটিকে বাতিল গণ্যে সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার বা নথিতে নোট প্রদানের ক্ষমতা কেবল দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার ছিল।

নতুন আইন কার্যকর হলে প্রতারণামূলক বা জাল দলিল প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট যেকোনো কর্তৃপক্ষকে (যেমন সাবরেজিস্ট্রার) সংশ্লিষ্ট নথি বা রেজিস্টারে নোট দেওয়ার আদেশ প্রদান করতে পারবেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ধারা ৬)। এতে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে। ফৌজদারি আদালতের মাধ্যমেই দলিল বাতিল সম্পর্কিত যাবতীয় প্রতিকার পাওয়া যাবে।

৩. জেলা প্রশাসকের ওপর দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার বাড়বে

এই আইনের ফলে জেলা প্রশাসকের ওপর দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার বাড়বে। কারণ আইনটির ৬ ধারা জাল/ প্রতারণামূলক দলিলের বিরুদ্ধে নথি/ রেজিস্টারে নোট দেওয়ার আদেশ প্রদানের ক্ষমতা ‘যেকোনো আদালতকেই’ প্রদান করেছে।

সুতরাং দেওয়ানি আদালত কোনো মামলায় (যেমন বাঁটোয়ারা বা ঘোষণামূলক মোকদ্দমা) যদি কোনো দলিলকে প্রতারণামূলক/ জাল মর্মে গণ্য করেন, সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট নথিতে নোট প্রদানের আদেশ দিতে পারবেন দেওয়ানি আদালত।

আবার এই আইন অনুসারে ‘দলিল’ বলতে কেবল সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিলকে বোঝাবে না, বরং খতিয়ান, পর্চাসহ ভূমিসম্পর্কিত যাবতীয় কাগজপত্রই ‘দলিল’ হিসেবে গণ্য হবে [ধারা ২(৫)]।

ফলে ‘খতিয়ানের’ প্রতারণামূলক লিখনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক/ এসি ল্যান্ডদের নির্দেশ দিতে পারবে দেওয়ানি আদালত।

৪. দেওয়ানি আদালতে দখলোদ্ধার প্রক্রিয়া সহজতর হবে

আইনের ৮(৭) ধারার বিধান অনুসারে দেওয়ানি আদালত কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে বা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনো জমির দখল উদ্ধার করে দেওয়ার দায়িত্ব এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর অর্পণ করতে পারবেন। ফলে দেওয়ানি আদালত থেকে বিনাখরচায় দখলোদ্ধারের একটা সুযোগ তৈরি হবে।

৫. দেওয়ানি আদালতে মামলার চাপ কমবে এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ওপর চাপ বাড়বে

জাল/প্রতারণামূলক দলিলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারে যেহেতু ফৌজদারি আদালতই নোট দেওয়ার আদেশ দিতে পারবে, সেহেতু দেওয়ানি আদালতে মামলা করার প্রয়োজন থাকবে না। শুধু তাই নয়- জাল/ প্রতারণামূলক দলিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি কোনো পক্ষের অনুকূলে জমির দখল প্রদান করা প্রয়োজন পড়লে সেই কাজটিও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটই করতে পারবেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে (ধারা ২০)।

ফলে দলিল/খতিয়ানকে অকার্যকর করা, জাল/প্রতারণামূলক দলিল/ খতিয়ানের পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের সাজা প্রদান করা এবং প্রকৃত হকদার ব্যক্তিকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া সবকিছুই হবে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে।

বায়নানামা প্রবলের মামলাও আর দেওয়ানি আদালতে করতে হবে না। কারণ দেওয়ানি আদালত কেবল ‘রেজিস্ট্রিকৃত’ বায়নানামা প্রবলের ডিক্রি দিতে পারে (ধারা ২১ক, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন)। নতুন আইনের ৯ ধারার আওতায় ‘অরেজিস্ট্রিকৃত’ বায়নানামার বিরুদ্ধেও প্রতিকার পাওয়া যাবে।

আবার দখল-উদ্ধারের মোকদ্দমাও করতে হবে না দেওয়ানি আদালতে। কারণ এই আইনের ৮ ধারায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ০৩ মাসের মধ্যে বিনাখরচায় দখল-উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে। ফলে দেওয়ানি আদালতের কাজ যে কমে আসবে, সেটি বলাই বাহুল্য।

৬. দখল ও দলিল নিয়ে এই আইনের অবস্থান যা হবে

এই আইনের ধারা ৭ অনুসারে জমি দখলে রাখতে পারবেন নিচের যেকেউ-

ক. হালনাগাদকৃত সবশেষ ‘খতিয়ানের মালিক’
খ. উক্ত সবশেষ খতিয়ানের মালিক থেকে ‘উত্তরাধিকারসূত্রে’ মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি
গ. হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশ্যে ‘আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল’-এর মাধ্যমে মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি
ঘ. ‘আদালতের আদেশ’-এর মাধ্যমে মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি

তবে বাস্তবে দেখা যায়, একই জমির ওপর উল্লিখিত একাধিক ধরনের দাবিদার ব্যক্তি থাকেন। এখন এই চার ধরনের ব্যক্তির মধ্যে কার ওপর কে প্রাধান্য পাবে, সেটি এই আইনে স্পষ্ট করা হয়নি। ফলে এ ব্যাপারে উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থিরিকৃত বিদ্যমান আইন ও নীতিই প্রযোজ্য হবে (ধারা ৩)।

উল্লেখ্য, বৈধ মালিকের জমি গায়ের জোরে দখল করাকে অতীতে কখনই আমাদের আইন অনুমোদন করেনি। আইনের অবস্থান সবসময় জবরদখলকারীর বিরুদ্ধে এবং প্রকৃত মালিকের পক্ষেই ছিল। তবে তামাদি আইনের ২৮ ধারা অনুসারে, দখলহীন ব্যক্তি ১২ বছরের মধ্যে নিজ জমির দখলোদ্ধারের মামলা না করলে জমির ওপর অধিকার হারান এবং উচ্চ আদালতের বহু সিদ্ধান্ত অনুসারে ওই জমিতে উল্টো সেই দখলদারের অধিকার জন্মায় যিনি অন্য সবার স্বত্ব প্রকাশ্যভাবে অস্বীকারপূর্বক শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে ১২ বছর ওই জমি দখলে রেখেছিলেন।

নতুন আইনে দখলহীন মালিক কর্তৃক দখল-উদ্ধারের মামলা করার কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়নি [ধারা ৮(১)]। ফলে দৃশ্যত মনে হচ্ছে, ১২ বছরের পরও এই আইনে দখলউদ্ধারের মামলা ‘রক্ষণীয়’ হতে পারে। কিন্তু লক্ষ্যণীয় হলো- নতুন আইনে তামাদি আইনের ২৮ ধারা কিংবা ‘বিরুদ্ধ দখল’ (adverse possession) সম্পর্কিত বিদ্যমান আইনকে নাকচ করা হয়নি। বরং এই আইনের ৩ ধারা বলছে, এই আইনের বিধানাবলি বিদ্যমান অন্যান্য আইনের কোনো বিধানের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে সেগুলোর ‘অতিরিক্ত’ হবে। সে হিসেবে তামাদি আইনের ২৮ ধারা যদি বহালই থাকে, সেক্ষেত্রে দখলহীন ব্যক্তি ১২ বছরের পরও দখল-উদ্ধারের মামলা করতে পারবেন- এমনটি বলার সুযোগ থাকে না।

উল্লেখ্য, এই আইনের দখল-উদ্ধার সম্পর্কিত ৮ ধারাটি একটি ‘দেওয়ানি’ প্রতিকার। যে-কারণে দখল-উদ্ধারের কার্যক্রম দেওয়ানি কার্যবিধির ‘ডিক্রিজারি’ সম্পর্কিত বিধান অনুসারে পরিচালিত হবে মর্মে আইনটিতে বলা হয়েছে [ধারা ৮(৮)]। যেহেতু প্রতিকারটি ‘দেওয়ানি’ প্রকৃতির এবং আইনটি বিদ্যমান আইনের ‘অতিরিক্ত’, ফলে তামাদি আইনকে অগ্রাহ্য করে ১২ বছর পরও দখল-উদ্ধারের কার্যক্রমকে রক্ষণীয় বলার সুযোগ থাকবে না।

৭. ভূমির সীমানা নিয়ে মামলা বাড়বে

নতুন আইনের ১০ ধারায় ‘আইনানুগভাবে’ দখলকৃত ভূমির সীমানা বা সীমানাচিহ্নের ক্ষতিসাধন করাকে দণ্ডনীয় করা হয়েছে এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উভয়কে বিচারের এখতিয়ার প্রদান করেছে।

আমাদের দেশে সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ প্রচুর। অনেকক্ষেত্রেই দলিল, খতিয়ান ও মৌজাম্যাপে একই জমির পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। দখলকৃত ভূমির সীমানা ‘আইনানুগভাবে’ সঠিক কি না, সেটি নিরূপণ করা জটিল প্রকৃতির ও সময়সাপেক্ষ বিচারিক কাজ। এই আইন কার্যকর হলে সীমানা বিষয়ক ফৌজদারি মামলা বাড়বে।

৮. থানায় ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো অপরাধের মামলা করা যাবে

ভূমি সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে দণ্ডবিধির যেসব ধারায় এতদিন মামলা হতো, তার বড় একটি অংশ ‘আমলঅযোগ্য’ (non-cognizable) ছিল বিধায় এসব মামলা দায়ের করতে বিচারপ্রার্থীদের আদালতে যেতে হতো। নতুন ভূমি আইনে প্রতিটি অপরাধ ‘আমলযোগ্য’ (cognizable) করা হয়েছে (ধারা ১৯)। ফলে বিচারপ্রার্থীরা এখন থেকে এসব মামলা থানাতেই দায়ের করতে পারবে। ভূমি সংক্রান্ত এসব অপরাধের দায়ে আসামিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ।

৯. ভূমির যেকোনো হস্তান্তরের ক্ষেত্রে খাজনা-খারিজে হস্তান্তরকারীর নাম থাকতে হবে

এতদিন পর্যন্ত কেবল ‘বিক্রয়’ তথা সাফকবলা দলিল রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে সবশেষ খতিয়ান/ নামজারি ও খাজনায় হস্তান্তরকারীর নাম থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল (ধারা ৫৩গ, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন)।

নতুন আইনে হেবাসহ সবধরনের হস্তান্তর দলিল রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে সবশেষ খতিয়ান/ নামজারি ও খাজনার চেকে হস্তান্তরকারীর নাম থাকার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে [ধারা ৬(৩)]।

তবে বিদ্যমান রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধানাবলি খর্ব হবে না- নতুন আইনের ৬(৩) ধারায় এমনটি স্পষ্টত উল্লেখ থাকায় (রেজিস্ট্রেশন আইনের ৫২ক ধারার বিধান অনুসারে) মৌরসের নামে খতিয়ান/খারিজ ও খাজনার চেক থাকলে বৈধ ওয়ারিশগণ ওই ভূমি বিক্রয় করতে পারবেন।

১০. সাক্ষীর সুরক্ষায় ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেন

এই আইনের ২১ ধারায় সাক্ষীদের সুরক্ষা প্রদানে এবং ২০ ধারায় ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে যেকোনো ধরণের ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেয়ার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের। এটি আদালতের প্রতি আস্থা বৃদ্ধিতে ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে সহায়ক হবে। পৃথক ‘সাক্ষী সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের পথে এটি বড় অগ্রগতি।

লেখক: মারুফ আল্লাম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস।