ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর ব্যবহারে রেগে গেলেন দেশটির প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ভরা এজলাসে ওই আইনজীবীকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেন তিনি।
সেই সঙ্গে এজলাসে কী ভাবে শিষ্টাচার মেনে চলতে হয়, তার ‘ক্লাস’ও নেন প্রধান বিচারপতি। ওই আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘এটা (এজলাস) কোনও রেলস্টেশন নয়, যেখানে আপনি চাইলেই যে কোনও ট্রেনে চড়তে পারেন।’’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির ঘরে একটি মামলার শুনানি চলছিল। সে সময় এজলাসে উপস্থিত এক আইনজীবী উঠে দাঁড়ান এবং প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে উদ্দেশ করে বলেন যে, তিনি বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলাটির শুনানির দিন এখনও ধার্য করা হয়নি। তিনি এই মামলার দ্রুত শুনানি চান, বলে জানান ওই আইনজীবী।
শুনানি চলাকালীন এমন ভাবে তালিকাবিহীন একটি বিষয় উল্লেখ করায় প্রধান বিচারপতি ক্ষুব্ধ হন। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনি কোনও স্টেশনে দাঁড়িয়ে নেই যে, চাইলেন আর ইচ্ছেমতো ট্রেনে চড়তে পারেন। আপনি একজন সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলে জানুন, আদালতে কী ভাবে আচরণ করতে হয়।’’
প্রধান বিচারপতির ধমক খেয়েও দমে যাননি ওই আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নই, তবে বিচার ব্যবস্থার উন্নতি চাই।’’
যা শুনে প্রধান বিচারপতি ওই আইনজীবীর থেকে জানতে চান, কোথায় প্র্যাকটিস করেন? উত্তরে তিনি বলেন, হাই কোর্ট এবং নিম্ন আদালতে প্র্যাকটিস করেন।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন যে, কেন ওই আইনজীবী কোনও একজন সিনিয়রের সঙ্গে কাজ করেন না, যিনি তাঁকে আদালতের শিষ্টাচার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন?
প্রধান বিচারপতি সোমবার ওই আইনজীবীকে বোঝাতে গিয়ে টেনে আনেন পুরনো ঘটনাকে। চলতি মাসের গোড়ায় এজলাসে তীব্র স্বরে কথা বলার জন্য এক আইনজীবীকে তিরস্কার করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। ওই আইনজীবীকে গলার স্বর নীচু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতির ‘বকুনি’ খেয়ে তড়িঘড়ি ক্ষমা চেয়ে নেন ওই আইনজীবী।