হুইপের মামলায় বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তার ৫ লাখ টাকা জরিমানা
সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা

পরিচালক হারুনের বিরুদ্ধে নায়ক রিয়াজের করা মামলা খারিজ

‘প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ

‘প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ পরিচালকের হারুনুর রশীদ কাজলের (জ্যাম্বস্ কাজল) বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বিচারক জুলফিকার হায়াত গত ১৪ মার্চ মামলাটি খারিজ করে দেন।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার জুয়েল আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিচালক হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক রিয়াজের মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ। আদালত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে মামলা খারিজ করে দেন।

‘প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ হারুনুর রশীদ কাজল (জ্যাম্বস্ কাজল) নামের এক পরিচালকের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ এপ্রিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫ ও ২৯ ধারায় সাইবার ট্রাইবুনালে ঢাকায় একটি মামলা দায়ের করেন চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদ।

ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই পরিদর্শক মুহাম্মদ মাসুদ রানা চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার বাদী ও বিবাদী পক্ষ নিজেদের মধ্যে মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে ঘনিষ্ঠ পরিচিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, হিতৈষী লোকজনদের মধ্যস্থতায় আপস মিমাংসায় উপনীত হয়েছেন। বাদী জানান যে, সূত্রে বর্নিত মামলার ঘটনা প্রমাণের বিষয়ে তিনি আর কোনো সাক্ষী প্রদান করবেন না।

তাই বিবাদী হারুনুর রশিদ কাজল ওরফে জ্যাম্বস কাজলের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৫ ও ২৯ ধারার অপরাধ অপর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে অপ্রমাণিত বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

এরপর চলতি বছরের ১৪ মার্চ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল। এদিন রিয়াজ আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন দাখিল করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মামলাটি খারিজ করে দেন।

আদেশে বিচারক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনসহ নথি পর্যালোচনা করিলাম। তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করা হলো। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যাপ্ত পরিমাণ উপাদান বিদ্যমান না থাকায় পিটিশন মামলাটি খারিজ করা হলো।