মানহানির মামলায় গ্রেফতার হওয়া সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষে কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এ আবেদন করেন।
গত ২২ অক্টোবর রংপুরের মানহানির মামলায় মইনুল হোসেনকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরের দিন (২৩ অক্টোবর) মইনুলকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম। সেদিন বিকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জস্থ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারিস্টার মইনুলকে।
এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ্য করে ‘চরিত্রহীন’ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাসুদা ভাট্টিসহ নারী সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। ঘটনার চার দিনেও ব্যারিস্টার মইনুল প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি।
মইনুলের মন্তব্যকে নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর দাবি করে একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জামালপুরের আদালতেও মামলা করেন একজন নারী। যদিও ওই দুটি মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। তবে ছাড়াও একই ঘটনায় কুড়িগ্রাম ও রংপুরের আদালতেও পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে রংপুরের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।