যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট আইনজীবী প্যানেলের প্রার্থী ইদ্রিস আলী ও সাধারণ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী প্যানেলের প্রার্থী আবু মোর্ত্তজা ছোট নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতি পদে মহাজোট আইনজীবী প্যানেলের প্রার্থী ইদ্রিস আলী ১৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের শেখ আব্দুল মোহায়মেন পেয়েছেন ১৫৬ ভোট।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের আবু মোর্ত্তজা ছোট ২১৪ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট আইনজীবী প্যানেলের শাহানুর আলম শাহীন পেয়েছেন ২০৯ ভোট ।
বাকি পদগুলোর মধ্যে সহ-সভাপতির দুইটি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী প্যানেলের সৈয়দ রুহুল কুদ্দুস কচি ১৮৮ ও মহাজোট আইনজীবী প্যানেলের মাহাবুবুর রহমান মাহবুব ১৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট প্যানেলের সেতারা বেগম ১৫৫ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের মিজানুর রহমান ১৪১ ভোট পেয়েছেন।
যুগ্ম সম্পাদক পদে মহাজোট আইনজীবী প্যানেলের এ. কিউএম ফিরোজ আক্তার ২০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের আব্দুর রাজ্জাক ১১৯ ভোট পেয়েছেন।
সহকারী সম্পাদকের দুইটি পদে মহাজোট প্যানেলের মিতা রহমান ২১৮ ভোট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের আশেক মাসুক আকুনজী সুমন ১৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইদ্রিস আলী ১৮৪ ও সালাহ উদ্দীন শরীফ শাকিল ১৬৭ ভোট পেয়েছেন।
গ্রন্থগার সম্পাদক পদে মহাজোট প্যানেলের এসএম নাসির আলম ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদেকা খাতুন বিলু পেয়েছেন ১৬৭ ভোট।
এছাড়াও কার্যকরী সদস্যর নয়টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন, মহাজোট প্যানেলের তারিক এনাম ২৫১ ভোট, আবু খালেক আল আসাদ লিটন ১৮৯ ভোট, নাসিমা আক্তার রুবী ২১৮ ভোট, শহিদুল ইসলাম ১৮৪ ভোট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের আব্দুল করিম মন্ডল ২০৮ ভোট, রেহেনা পারভীন ১৯৪ ভোট, মাহমুদা খানম ১৯১, কাজী কামরুল ইসলাম ১৯০ ও শাহিনা খানম মিলি ১৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
গতকাল সোমবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় নির্বাচন কমিশনার এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে ৪৪২ জন ভোটারের মধ্যে ৪৩৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট এটিএম এনামুল হক। ফলাফল ঘোষণা শেষে বিজয়ীদের ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা দেন সাধারণ সদস্য ভোটারগণ।