রাজধানীর আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী মণ্ডলকে হত্যার দায়ে ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পলাশের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তার এক লাখ টাকা জনিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী এবং সন্তানকে আঘাত করায় পৃথক ধারায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের (৩ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের ভাড়া বাসায় দুর্বৃত্তের হামলায় মারাত্মক আহত ও দগ্ধ হন কৃষ্ণা কাবেরী মণ্ডল (৩৫)। পরদিন হাসপাতালে মারা যান আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের এ প্রভাষক। এ সময় কৃষ্ণার দুই মেয়ে শোভনা ও অদিতিও হাতুড়ির আঘাতে আহত হন।
ঘটনার পর তার বড় ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস গুলশানের ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পলাশকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। সীতাংশু শেখর বিশ্বাস বিআরটিএর প্রকৌশল বিভাগের উপ-পরিচালক ছিলেন।
এক বছরের বেশি সময় তদন্ত চালিয়ে ২০১৬ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সীতাংশু বিশ্বাস হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেখানে আট লাখ টাকা ছিল। শেয়ার ব্যবসার সূত্রেই পলাশের সঙ্গে সীতাংশুর পরিচয় হয়। সীতাংশুর শেয়ার আত্মসাৎ করার জন্য তাকে হত্যার চেষ্টা করেন পলাশ এবং তার হামলায় কৃষ্ণার মৃত্যু হয়।
২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন একমাত্র আসামি গুলশানের একটি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপক এম জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২২ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।