ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জন নিহত এবং ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আজ রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাহাফুজ ও মিজান। আহতদের মধ্যে- বোরহানউদ্দিনের ছোটমানিকা এলাকার মিজানুর রহমান (৩০), নান্টু (৪০), মাকসুদুর রহমান (১৮), তানভীর (৩০), অলিউল্লাহ (৪০), সিদ্দিকের (২৮) নাম জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিপ্লব নামে এক যুবকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার ওই যুবকসহ আরো একজনকে আটকও করে পুলিশ।
ফেসবুক পোস্টটির জেরে রোববার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় স্থানীয় লোকজন। তারা বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (দুপুর দেড়টা) ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রোরহানউদ্দিন থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাইমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।
রোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহীন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মাহফুজ ও মিজানের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতাবস্থায় বেশ কয়েকজন ভর্তি রয়েছে।