বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে, এখন থেকে আর কোনো নারী নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না।
দিনাজপুরের এক নারী রেজিস্ট্রার প্রার্থীর রিট খারিজ করে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়ার পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনজন নারীর নাম প্রস্তাব করে উপদেষ্টা কমিটি। তিন সদস্যর এই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।একই বছরের ১৬ জুন আইন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের দ্বারা নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়’-মর্মে চিঠি দিয়ে তিন সদস্যর প্যানেল বাতিল করে। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের এই সিন্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নিকাহ রেজিস্ট্রারের প্যানেলে এক নম্বর ক্রমিকে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ‘আইন মন্ত্রণালয়ের চিঠি কেন বাতিল করা হবে না’-মর্মে রুল জারি করেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির বলেন, আজ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে, বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়- মর্মে অভিমত দিয়েছেন আদালত।