করোনা ভাইরাস সংক্রমণে রোধে বিদ্যমান বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ তা কার্যকর থাকবে।
‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধি-নিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসময় দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চালু থাকবে। ’
২৬ এপ্রিল (সোমবার) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন একথা জানান।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে চলমান বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউন’ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) প্রজ্ঞাপন হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, করোনা সংক্রমণে মৃত্যু বাড়ার কারণে ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত নতুন করে বিধি-নিষেধ দেওয়া হবে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে অফিস-আদালত, গণপরিবহন এবং দোকানপাট ও শপিংমলমল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক নির্দেশনায় ২৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট এবং শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন ছিল। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন, দোকানপাট এবং মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে লকডাউন দেওয়া হয়।
গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতষ্ঠান বন্ধ এবং ২৬ মার্চ থেকে সব অফিস-আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই সময়ে গণপরিবহনও বন্ধ রাখা হয়েছিল। ৬৬ দিন পর সাধারণ ছুটি শেষ হলেও একবছর গড়িয়ে এখনও বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম চালু রেখেছে।