অনলাইনে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ২০ জুন (রোববার) পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে একাধিক রিটের শুনানির পর ১৫ জুন (মঙ্গলবার) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
সে পর্যন্ত নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনগুলোর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক ও সৈয়দা নাসরীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন কুমার দেবুল দে।
গত ১০ জুন দর্শন বিভাগের ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। শিক্ষা সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান, জাবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য আগামী ১২ জুন অনলাইনে সিলেকশন বোর্ড (মৌখিক পরীক্ষা) আহ্বান করা হয়। করোনার সময় যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে তড়িঘড়ি করে অনলাইনে ভাইভা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে হঠকারি সিদ্ধান্ত বলে এটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন জাবির দর্শন বিভাগের শিক্ষকরা।
এরপরও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত না করায় তাদের এ বিষয়ে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট দায়ের করা হয়।