রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলার আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন এক আসামি।
আজ রোববার (১০ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতের প্রতি আসামি আরিফ হাসান ওরফে সুমন এ অনাস্থা জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ দিন মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ধার্য ছিল। আসামি আরিফ হাসানের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরার আবেদন করেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এরপর আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, আপনার আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। আমরা ন্যায়বিচার পাবো না। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আমাদের সময় দিন।
এরপর আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২০ এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভুঞা এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ২১ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর গত ৩ এপ্রিল কারাগারে থাকা সাত আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। ওই দিনই আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই সময় বিস্ফোরক আইনের ৩ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাই ৩ ধারার সঙ্গে ৬ ধারা যুক্ত করে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারার প্রয়োজনীয়তা না থাকায় তা বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০০১ সালে রমনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সাতজন নিহত ও ২০ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের পাশাপাশি হত্যা মামলা দায়ের হয়। হত্যা মামলার রায় হয় ২০১৪ সালের ২৩ জুন।
রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
মামলায় সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনও পলাতক। অন্য মামলায় মুফতি আব্দুল হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে।