সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর, দুপক্ষের হাতাহাতি, ঘড়ি, টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন বিএনপিপন্থি ২৫ আইনজীবী। মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।
রোববার (২১ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে গত দুই মাস ধরে উত্তপ্ত দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ। গত ১৫ ও ১৬ মার্চ হট্টগোলের মধ্যে সমিতির নির্বাচন হয়। এতে সবকটি পদে জয়ী হন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। এ ভোট বর্জন করেন বিএনপিপন্থিরা। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে তারা ধারাবাহিক আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ মে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। এসময় দুপক্ষের ‘হাতাহাতি’র ঘটনাও ঘটে।
ঘটনার দিন রাতেই বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আসামি করে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সহকারী সুপারিন্টেডেন্ট মো. রফিকউল্লাহ। রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা এ মামলায় ২৫ আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। তারা সবাই বিএনপিপন্থি বলে পরিচিত। এ মামলার এজাহারে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, নারী আইনজীবীদের যৌন হয়রানি, এক লাখ টাকা দামের স্বর্ণের চেইন, নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ১৫ হাজার টাকার কেসিও ঘড়ি চুরির অভিযোগ করেন বাদী।
মামলায় আসামি যারা
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল, বারের এডহক কমিটির আহ্বায়ক মো. মহসিন রশিদ, এডহক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, অ্যাডভোকেট মো. ঈশা, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, অ্যাডভোকেট মো. কাইয়ুম, অ্যাডভোকেট মো. সাগর হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম রেজা, অ্যাডভোকেট মো. উজ্জল হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, অ্যাডভোকেট মো. রবিউল আলম সৈকত, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ছোটন, ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব, অ্যাডভোকেট মো. মাহমুদ হাসান, অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট সাকিবুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান (রাহান) ও আব্দুল কাইয়ুম।