জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল ও আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন রিটকারী আইনজীবী। লিগ্যাল নোটিশে সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন পেছানোর সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিন নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী জানান, লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আইনগত (হাইকোর্টে রিট) পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ঘোষিত তফসিল পেছানোর জন্যে নোটিশে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অনুপস্থিত রয়েছে। যদি তারা নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার দেওয়া উচিত। এছাড়া নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে বিদেশিদের চাপ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে নয়, জনস্বার্থে এই নোটিশ পঠিয়েছি। এখন দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে, মানুষের জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে নোটিশ পাঠিয়েছি।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে সংসদ ভাঙার পূর্ববর্তী নববই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এই ধারার শর্ত অনুযায়ী যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোন দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ভোট গ্রহণের ৫২ দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ১৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।