জেলা আদালতের রায় পক্ষে এসেছে, এবার হাইকোর্টে নজর অমর্ত্য সেনের
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন

জেলা আদালতের রায় পক্ষে এসেছে, এবার হাইকোর্টে নজর অমর্ত্য সেনের

অমর্ত্য সেনের জমি বিবাদ মামলায় জেলা আদালতের রায়ে জোর ধাক্কা খেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পক্ষে রায় দিয়েছেস বীরভূম জেলার সিউড়ি জেলা আদালত।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্বভারতীর করা সেই মামলার রায়ে স্বস্তিতে বাঙালি অর্থনীতিবিদ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর করা জমি উচ্ছেদের মামলা নোটিশ খারিজ করে দিয়েছেন জেলা আদালত। যদিও এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর বর্তমান কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

পৈতৃক ভিটের ১৩ শতক জমি অমর্ত্য সেন দখল করে রেখেছেন বলে দাবি করেছিলেন সাবেক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই মর্মে গত বছর ১৯ এপ্রিল অমর্ত্য সেনকে জমি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রতীচীর (অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি) গেটে আটকে দেওয়া হয়েছিল সেই নোটিশ। তাতে উল্লেখ ছিল, ৬ মে’র মধ্যে প্রতীচীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করতে হবে। না হলে কর্তৃপক্ষের তরফে বল প্রয়োগ করা হবে।

সেই নোটিশ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে সিউড়ি জেলা আদালতের জজ এজলাশে যান অমর্ত্য সেনের আইনজীবী। একই ভাবে বিশ্বভারতী আপিল করে হাইকোর্টে। গত বছর ৪ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে‘র একক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিলেন, নিম্ন আদালতে (বীরভূম জেলা আদালত) শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বভারতীর তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। সেই সময় নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অমর্ত্য সেনের পক্ষে রায় দিলেন জেলা আদালত।

৬৯ পাতার আবেদনে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন দাবি করেছিলেন, শান্তিনিকেতনে এই ১ দশমিক ৩৮ একর জমির ওপর বাড়ি (প্রতীচী) তৈরি করেছিলেন তার বাবা আশুতোষ সেন। ৮০ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করছে তার পরিবার। আচমকা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১৩ ডেসিমেল জায়গা ছাড়ার নোটিশ পান তিনি।

অমর্ত্য সেনের আইনজীবী বিমান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের আবেদন মেনে নিয়েছেন সিউড়ি আদালত। বিশ্বভারতী যে নোটিশ দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

এখন কলকাতা হাইকোর্ট কী রায় দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সবার। তবে ধারণা করা হচ্ছে, হাইকোর্টের রায়ও অমর্ত্য সেনের পক্ষেই যাবে।