বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন করোনা আক্রান্ত
অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন

রেজাউর রহমানের সদস্যপদ বাতিল, বার কাউন্সিলের নতুন ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন

সারা দেশে আইনজীবীদের সনদ প্রদান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিন হলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

গত ১ ডিসেম্বর এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বিধি ৯১(১)(c) অনুসারে সাধারণ আসনের সৈয়দ রেজাউর রহমান, মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান বাদল ও মো. রবিউল আলম (বুদু) -এর সদস্যপদ গত ২৯ নভেম্বর বাতিল করা হয়েছে।

ফলে এসব শূন্য সদস্যপদ সমূহে তাঁদের নিকটতম সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে থাকায় এবং আবদুল জামিল মোহাম্মদ আলী (এ. জে. মোহাম্মদ আলী) মৃত্যুবরণ করায় তাঁদের পরে যারা ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন তাঁরা যথাক্রমে – শাহ্‌ মো. খসরুজ্জামান, মো. নজরুল ইসলাম খান ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

এমতাবস্থায় বার কাউন্সিল আদেশ, ১৯৭২ এর ১২(a) এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে শাহ্‌ মো. খসরুজ্জামান, মো. নজরুল ইসলাম খান ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, বাদ পরা সাধারণ সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হলেন।

উল্লেখ্য, তিন বছর পর বার কাউন্সিল নির্বাচন হয়। বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪টি পদ বা আসনে ভোট হয়। এর মধ্যে সাধারণ আসনে (দেশজুড়ে) সাতজন ও সাতটি অঞ্চলভিত্তিক আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরও সাতজন নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ১৪ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকারবলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

গত নির্বাচনে (২০২২) নিরঙ্কুশ জয় পান আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। ১৪টি আসনের বিপরীতে ১০টিতে আওয়ামীপন্থী ও ৪টি আসনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা জয় পান। তবে দেশে ৫ আগস্ট-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী নেতারা আদালতে আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন।