ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে যুক্ত থাকা এক ডজনের বেশি আইনজীবী বরখাস্ত

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে কর্মরত এক ডজনের বেশি আইনজীবীকে বরখাস্ত করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন। তাঁরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা দুটি ফৌজদারি মামলার তদন্তকাজে যুক্ত ছিলেন।

বিচার বিভাগের একজন কর্মকর্তা না প্রকাশ না করেই বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস ম্যাকহেনরি সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে ‘প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) বিচারপ্রক্রিয়ায় তাঁদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা থাকার কারণে তাঁর এজেন্ডা বিশ্বস্তভাবে বাস্তবায়নে এসব ব্যক্তিকে আর বিশ্বাস করা যায় না। এর পরপরই আইনজীবীদের বরখাস্ত করা হয়।’

বরখাস্ত হওয়া আইনজীবীরা সাবেক বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের নেতৃত্বাধীন তদন্ত দলে যুক্ত ছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা সরকারি গোপন নথি সরানো এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়ার চেষ্টাসংক্রান্ত ফৌজদারি দুটি মামলায় তদন্ত করেছিলেন তাঁরা।

গতকাল সোমবার তাৎক্ষণিকভাবে এসব আইনজীবীকে বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হয়েছে।

বিশেষ কৌঁসুলি পদে ২০২২ সালে জ্যাক স্মিথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা দুটি ফৌজদারি মামলা তদন্তের ভার ছিল তাঁর ওপর। ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার আগে হুমকি দিয়েছিলেন, ক্ষমতা নিয়ে ‘দুই সেকেন্ডের মধ্যে’ তিনি জ্যাক স্মিথকে পদ থেকে সরিয়ে দেবেন। পরে ট্রাম্পের শপথের আগেই জ্যাক পদ ছাড়েন।

দুটি মামলাতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছিল; যদিও ট্রাম্প কখনোই দোষ স্বীকার করেননি।

গত বছরের নভেম্বরে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মামলা দুটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কৌঁসুলিরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বিধিবিধান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার অনুমতি দেয় না।

তবে এখন জ্যাক স্মিথের দলের কাকে কাকে ট্রাম্প বরখাস্ত করলেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তাঁর দলের অনেক আইনজীবীর দুর্নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত আইন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেসিডেন্টের আমলে বিভিন্ন মামলায় যুক্ত ছিলেন।

জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া আইনজীবীরা গতকাল সোমবার একটি চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত ও মামলা পরিচালনায় এসব আইনজীবীর ভূমিকা বিচার বিভাগের কাজে তাঁদের অনুপযুক্ত করে তুলেছে।