বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখা ও নকল করার অভিযোগে ৫৮ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও, দুই কেন্দ্রে আরও তিনজন পরীক্ষার্থীকে কারাদণ্ড ও জরিমানা দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (২৮ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বার কাউন্সিলের সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার।
জানা গেছ, এদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকার প্রায় ১৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নকলসহ অন্যান্য অভিযোগে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেটরা অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বহিষ্কার ও কয়েকজনকে সাজা দেন।
মিরপুর শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুইজনকে এক মাসের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
পরীক্ষা চলাকালীন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে কড়া নজরদারির মাধ্যমে নকল ও অসদুপায় অবলম্বনকারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এবারের লিখিত পরীক্ষায় এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। একইসঙ্গে, বিগত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিয়েছেন।
বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী, তিন ধাপ— এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক—পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই একজন প্রার্থী আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পান।
একবার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, তারা পরবর্তী তিনটি পরীক্ষায় সরাসরি মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিবেচিত হন। বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটি পরীক্ষার নীতিমালা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।