কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে ঘরের দরজা ভেঙে এক হিন্দু নারীকে ধর্ষণ এবং সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
ভুক্তভোগী ওই নারী গত শুক্রবার (২৭ জুন) মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্ত ফজর আলী (৩৮) কে আজ ভোরে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, ঘটনার ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই মুরাদনগর উপজেলার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ২৫ বছর বয়সী ওই নারী প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সদস্যরা পূজায় গেলে তিনি বাড়িতে একা ছিলেন।
রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী ঘরের দরজা খুলতে বলেন, তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরে জোর করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী চিৎকার ও শব্দ শুনে আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন। তারা গিয়ে দরজা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন।
এ সময় কিছু লোক ওই নারীকে মারধর ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে তারা বুঝতে পারেন নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ফজর আলীকে গণপিটুনি দিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান।
শনিবার রাতে ওই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীর করা মামলার ভিত্তিতে অভিযানে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, এবং তদন্ত চলমান রয়েছে।