ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যা (প্রতীকী ছবি)
ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যা (প্রতীকী ছবি)

মামলা করেও স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে না পেয়ে আদালত প্রাঙ্গণেই আত্মহত্যা

হবিগঞ্জে মামলা করেও স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে না পাওয়ার অভিমানে আদালত প্রাঙ্গণে নিজ পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। তার নাম হাফিজুর রহমান (২৮)।

আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণের নিমতলায় ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত হাফিজুর রহমান হবিগঞ্জ শহরতলীর কামড়াপুর এলাকার নূর মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুলতান মাহমুদপুর এলাকায় বসবাস করতেন।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, প্রায় দুই বছর আগে নিহত হাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের কন্যা বুশরা বেগমের। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে আসে একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান।

সম্প্রতি পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাফিজুর ও তার স্ত্রী বুশরার মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এরই জের ধরে কিছুদিন আগে বুশরা সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। হাফিজুর তার স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে বারবার শ্বশুর বাড়ি গেলেও বিষয়টির কোনও সুরাহা হয়নি।

এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি ১০০ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উদ্ধার মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আজ হবিগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ ধার্য তারিখে স্ত্রী বুশরা জবানবন্দি দিলে আদালত বুশরাকে তার মা খুদেজা বেগমের জিম্মায় দেন।

এরই ফলশ্রুতিতে ক্ষোভে অভিমানে হাফিজুর আদালত প্রাঙ্গণের নিমতলায় এসে ছুরি দিয়ে নিজ পেটে উপর্যুপরি আঘাত করেন। তাৎক্ষণিক উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিঠুন রায় মৃত ঘোষণা করেন।

ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা তদন্তের পর জানা যাবে।