বন্দুকযুদ্ধ

নয় জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১১ মাদক চোরাকারবারি নিহত

 

সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আরও ১১ জন নিহত হয়েছে। র‌্যাব ও পুলিশ এসব ঘটনাকে বর্ণনা করে আসছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হিসেবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সোমবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার (২২ মে) সকালের মধ্যে নয় জেলায় মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে তাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়।

এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে কুমিল্লা ও নীলফামারীতে দুইজন করে মোট চারজন এবং চুয়াডাঙ্গা, নেত্রকোণা ও দিনাজপুরে একজন করে তিনজন নিহত হয়েছেন। আর র‌্যাবের গুলিতে চট্টগ্রাম, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জে নিহত হয়েছেন চারজন।

পুলিশ ও র‌্যাবের দাবি, নিহতরা সবাই মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিল। কারও কারও বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলাও রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে গত চার দিনেই অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মাদকের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে তা দমন করছে- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ধরনের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে তারা।

এসব ঘটনার যে বিবরণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আসছে, তা মোটামুটি একই রকম। তাদের দাবি, অভিযানের সময় মাদক চক্রের সদস্যরা গুলি চালালে পাল্টা গুলিবর্ষণ হয়, তাতেই এদের মৃত্যু ঘটে।

তবে বিভিন্ন সময়ে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে, ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় তাদের স্বজনদের।

দেশ থেকে মাদক নির্মূলের প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার এক অনুষ্ঠানে বলেন, জঙ্গি দমনের মত মাদক ব্যবসায়ী দমনে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। আর এই দায়িত্ব মূলত দেওয়া হয়েছে র‌্যাবকে।

অবশ্য গোয়েন্দা পুলিশ, রেল পুলিশ, থানা পুলিশ এবং বিজিবিকেও নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানে দেখা যাচ্ছে।