শব্দ দূষণ (প্রতীকী ছবি)

ঢাকাসহ সারাদেশে শব্দ দূষণ রোধে আইনি নোটিশ

ঢাকাসহ সারাদেশে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এবং শব্দ দূষণ রোধে অবিলম্বে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

জনস্বার্থে আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন এ নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে নানাবিধ উন্নয়নের জোয়ার বইছে অথচ শব্দ দূষণের মতো মারাত্মক ক্ষতিকারক বিষয়টির ওপর কারো নজর নেই। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না ফলে শব্দ দূষণের বিরূপ প্রভাবের ভুক্তভোগী ঢাকাসহ সারাদেশের সাধারণ মানুষ।

তিনি বলেন, চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী অতিমাত্রায় শব্দ দূষণের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং গর্ভবতী মায়ের সন্তান বধির হয়ে জন্মাতে পারে। এছাড়া তিন বছরের কম বয়সী শিশুরাও মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণের প্রভাবে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। তাই এখনি যদি শব্দ দূষণের লাগাম টানা না যায় তবে একটি শ্রবণ প্রতিবন্ধী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই।

এই আইনজীবী আরও বলেন, বিশেষ করে মানবসৃষ্ট শব্দ দূষণ যেমন যানবাহনের হর্ন, হাইড্রোলিক হর্ন, উচ্চ শব্দে মাইকিংসহ এ জাতীয় শব্দ দূষণ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। অথচ বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নজরে পড়ছে না। এজন্য শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে শব্দ দূষণ রোধে অবিলম্বে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।

দশ দিনের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হবে বলেও জানান আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।