সোমবারের মধ্যে ১০০০ কোটি টাকা দিতে হবে গ্রামীণফোনকে

আগামী সোমবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে গ্রামীণফোনের। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই অর্থ পরিশোধ করতে বলেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ আদেশ দেন। একই সঙ্গে সোমবার গ্রামীণফোনের রিভিউ আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

শুনানিকালে গ্রামীণফোনের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা মনে করেন বাংলাদেশের কোর্ট ছোট কোর্ট। এই ভাবনা খুবই কষ্টকর। এটা সর্বোচ্চ আদালত।’

এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে পরিশোধ করতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। আপিল বিভাগের এই আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে গ্রামীণফোন আবেদন করে। আজ তা শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মেহেদী হাসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার রেজা-ই রাকিব।

আজ শুনানির শুরুতে গ্রামীণফোনের আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিটিআরসির মূল দাবি ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হলে ৮৭ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে।

আদালত বলেন, ‘আদালতের আদেশ কতটুকু বাস্তবায়ন করেছেন?’ জবাবে গ্রামীণফোনের আইনজীবী বলেন, ‘৫০০ কোটি টাকা অফার করা হয়েছে। বিটিআরসি সেই টাকা নেয়নি। ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। এর আগে আবেদনটি করা হয়েছে। বিটিআরসি বলেছে, ২ হাজার কোটি টাকার কম নিলে আদালত অবমাননা হবে।’ তিনি আদালতে মূল দাবির ২৫ শতাংশ পরিশোধ করার আদেশ দেওয়ার আরজি জানান।

আদালত তখন বলেন, ‘আমরা বললাম ২ হাজার কোটি টাকা দিতে। আপনারা বলছেন ৫০০ কোটি টাকার কথা।’ গ্রামীণফোনের আইনজীবী বলেন, ‘বিটিআরসির মূল দাবি ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। উনারা কোনোভাবে আমাদের সুযোগ দিচ্ছে না।’ আদালত বলেন, ‘বিটিআরসির দাবি ১২ হাজার কোটি টাকা। আমরা ২ হাজার কোটি টাকা দিতে বললাম। আপনারা আপিল বিভাগের আদেশ উপেক্ষা করছেন?’ গ্রামীণফোনের আইনজীবী তখন অর্থ পরিশোধের জন্য সময় বাড়ানো ও কিস্তিতে পরিশোধের আরজি জানান।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কোনো অর্থই পরিশোধ করা হয়নি। ছয় মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হলে সব আদায় করা যাবে।