সার্জিক্যাল মাস্ক

অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রির দায়ে জরিমানা

ময়মনসিংহে অতিরিক্ত দামে সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি করার দায়ে দু’টি ফার্মেসিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রি করার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদুর রহমান এ জরিমানা করেন।

অভিযানে নগরীর দূর্গাবাড়ি এলাকার বায়োল্যাব সার্জিক্যাল ফার্মিসিকে ভোক্ত অধিকার আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একই সময় এস কে মেডিসিন ফার্মিসিকে অতিমুনাফার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আতংকিত হয়ে পড়েছে মানুষ। বাংলাদেশে সম্প্রতি তিনজন করোনা আক্রান্তের খবরে দেশের জনগণ অনেকটাই আতংকিত। প্রতিরোধে বেশিরভাগ মানুষ মাক্স ব্যবহারের দিকে ঝুকেছে। এই সুযোগে একশ্রেনীর অতিমুনাফাধারীরা মানুষের কাছ থেকে অন্যায্য মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৭০ থেকে ৭৫ টাকার একটি সার্জিক্যাল মাক্স ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যা ভোক্তা অধিকার আইনে দন্ডনিয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদুর রহমান অভিযান পরিচালনার সময় ব্যবসায়ীদের সচেতনামূলক নির্দেশনা দেন। তিনি দোকানীদের প্রতি মাস্কে ২০ থেকে ২৫ শতাংশের বাইরে মুনাফা অর্জন করতে বারণ করেন। আইন ও নির্দেশনা অমান্য করে কেউ অতি মুনাফা, পণ্যের যথাযথ রশিদ সংগ্রহ, সংরক্ষণ না করলে আইন অনুযায়ী দন্ডিত হবেন বলে নির্দেশনা প্রদান করেন।

অভিযানে আরও ছিলেন, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলম। জেলা প্রশাসনের এ অভিযানকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ জনগণ। বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি সকলের।

এর আগে, দেশে তিন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর যেন কেউ মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের দাম বাড়াতে এবং অবৈধ মজুত করতে না পারে, সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরামর্শ দেন হাইকোর্ট। সোমবার (৯ মার্চ) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পরামর্শ দেন।

আদালতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মো.আমিনুল হাসানের দেওয়া এই প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পর মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। এখন মানুষের মধ্যে একটা সচেতনতাও তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগে এটা নিয়ে বাজারে কোনও ধরনের ব্যবসা হয় কিনা পেঁয়াজের মতো, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। কেউ যেন বেশি দাম না নিতে পারে, মজুত না করতে পারে।’