খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

দ্রুত বিচারের নতুন নজির, ৩ কার্য দিবসেই মাদক মামলা নিষ্পত্তি

দ্রুত বিচারের নতুন নজির স্থাপন করেছে খুলনার একটি আদালত। মাত্র ৩ কার্য দিবসে রায় ঘোষণা করা দেশের প্রথম এবং যুগান্তকারী-মাইলফলক বলছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

মাদকের একটি মামলা নিষ্পত্তি করে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক ড. মোহাম্মদ আতিকুস সামাদ আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি ধারায় ছয় মাস করে মোট এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় মামলার একমাত্র আসামি সম্রাট আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সম্রাট স্থানীয় খানজাহান আলী সেতু সংলগ্ন মুক্তার হসেন সড়কের মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী জালাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর নগরীর লবণচোরা থানা পুলিশ স্থানীয় মোক্তার হোসেন বাজার মেইন রোড এলাকার কিউপিএস ফার্মেসির সামনে থেকে আসামি সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩০ গ্রাম গাঁজা এবং ছয় পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় লবণচোরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আকরাম হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি লবণচরা থানার এসআই নাসিরুদ্দিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এরপর গত ২১ অক্টোবর খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ড. আতিকুস সামাদ চার্জ গঠন করেন। ২২ অক্টোবর মামলার ৭ জনের মধ্যে ৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। ২৫ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে যুক্তিতর্ক শেষ হয়। যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাহারা ইরানি পিয়া বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। বাংলাদেশের দ্রুততম সময়ে রায় ঘোষণার ঘটনা এ প্রথম। মাইলফলক হিসেবে থাকবে এ রায়। এ ধরনের রায়ের মাধ্যমে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নজির সৃষ্টি হলো। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সর্দার ইয়াসির আরাফাত রানা বলেন, সব পক্ষের সহযোগিতার কারণে এ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে আসামিপক্ষ কোনো ধরনের অন্যায় বা অবিচারের শিকার হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।