ব্যারিস্টার হেলাল কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) -এর দায়ের করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তাঁর বাবা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনও এই মামলায় দণ্ডিত আসামি।

জানা গেছে, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় দুদক মামলা করে। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাসির উদ্দিনকে ১২ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে পৃথক দুটি আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাসিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের এ রায় বাতিল চেয়ে দুদক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করে।

আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ৩ জুলাই এক রায়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টেই বিচার করার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে পুনরায় শুনানি শেষে গতবছর ১৯ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে পিতা-পুত্রকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখা হয়।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় গত ৬ জানুয়ারি। ১৫৯ পৃষ্ঠার এ রায়ে পিতা-পুত্রকে নিম্ন আদালত রায়ের কপি পাবার তিনমাসের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পন করতে বলা হয়। কিন্তু তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করেই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।

হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে আবেদন করায় আপিল বিভাগ তাদের আবেদন খারিজ করে দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চ সম্প্রতি এ আদেশ দেন। ফলে দুদকের মামলায় ব্যারিস্টার হেলাল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।