প্রকাশ্যে ধূমপান ও যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ
হাইকোর্ট

চেকের মামলার বিচারে আদালত নির্ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়

যুগ্ম দায়রা জজ আদালতকে চেক ডিজঅনার-সংক্রান্ত সকল মামলার বিচারের এখতিয়ার দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে উচ্চ আদালত বলেছেন, নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্ট-১৮৮১-এর ১৩৮ ধারার অধীনে চেক প্রতারণার মামলার শুনানি শুধু যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে হবে। আর যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল আবেদন করা যাবে।

একইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এ সক্রান্ত সকল মামলা অবিলম্বে যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে হবে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসব মামলার বিচার যে পর্যায়ে রয়েছে যুগ্ম দায়রা আদালত সে পর্যায় থেকেই এসব মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করবেন।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ বিষয়ে সব অধস্তন আদালতকে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে। রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে নির্দেশনা জারি করতে হবে।

উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের এএএম জিয়াউর রহমানের চেক-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৮ অক্টোবর এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।

হাইকোর্টের সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণার পর ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির জানিয়েছিলেন, এতদিন চেক-সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য কোনো আদালত নির্ধারিত ছিল না। এ ধরনের মামলার শুনানি অতিরিক্ত দায়রা জজ, যুগ্ম দায়রা জজ বা দায়রা জজ আদালতে হতো। এ কারণে চেকের মামলার রায়ের পর আপিল করতে হাইকোর্টের যেতে হতো।

তিনি আরও জানান, এম জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা করে ইসলামী ব্যাংক। মামলাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। ওই তিন মামলার কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালের অক্টোবরে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

আদালত রায়ে বলেছেন, এখন থেকে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) অ্যাক্ট-১৮৮১-এর ১৩৮ ধারার অধীনে চেক প্রতারণার মামলার শুনানি শুধু যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে হবে। এ রায়ের ফলে যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করতে হবে। এতে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে।