রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত : পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ
হাইকোর্ট

রাবি ছাত্রী সিফাত হত্যা মামলায় স্বামী আসিফের জামিন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্দশ ব্যাচের শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় তার স্বামী আসিফকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারিক আদালতে পুনরায় বিচারের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) করে জামিন আবেদন করেন আসিফ।

শুনানি শেষে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে তাকে জামিন দেন আপিল বিভাগ।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে সিফাতের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পর দিন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমানের করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় সিফাত আত্মহত্যা করেছেন।

পরে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসক।

দ্বিতীয় দফার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ সিফাতের স্বামী আসিফ প্রিসলি, আসিফের বাবা মোহাম্মদ রমজান, মা নাজমুন নাহার ও প্রথম ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক জোবাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।

এ মামলায় বিচারিক আদালতে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সিফাত হত্যা মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে তার স্বামী মোহাম্মদ আসিফ প্রিসলিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তবে আসিফের বাবা মোহাম্মদ রমজান, মা নাজমুন নাহার নজলী ও প্রথম ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান খালাস পান।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাস চেয়ে আপিল করেন আসিফ। অপরদিকে আসিফের সাজাবৃদ্ধি ও তিন আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আবেদন করে বাদীপক্ষ।

এসব আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ৬ সেপ্টেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।