চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত

বিচারকের স্বপ্রণোদিত মামলায় সড়ক বিভাগের বেদখল ২৫০ শতক জমি উদ্ধার

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত চকরিয়া উপজেলার বরইতলী গরুবাজার এলাকায় বেদখল হয়ে পড়া জমি উদ্ধারে অবশেষে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে সড়ক বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম জোনের আইন ও এস্টেট কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট) মনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বে সম্প্রতি এ অভিযানে মোট ৫৬টি অবৈধ দোকান-পাট গুড়িয়ে দিয়ে সড়ক বিভাগের বেহাত হওয়া অন্তত তিন কোটি টাকা মূল্যের আড়াইশ শতক জমি উদ্ধার করেছেন।

অভিযান চলাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তাফা, সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম জোনের আইন ও এস্টেট কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার কেবল চাকমা, চকরিয়া উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মো.শাখাওয়াত হোসেন, সহকারি প্রকৌশলী (এসও) দিদারুল ইসলাম ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মো.শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘবছর ধরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গরুবাজার এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত আরএস ৬৭০৯ খতিয়ানের বিএস ১৩২৯৭ দাগের জমিতে ব্যক্তিগত মার্কেট নির্মাণের ঘটনা ঘটে। গেল কয়েকমাস আগেও উল্লেখিত সরকারি জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের চেষ্ঠা চালায় কতিপয় মহল। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের। এরই প্রেক্ষিতে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রাজীব কুমার দেব বিষয়টির আলোকে স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি অপর মামলা রুজু করেন আদালতে। মামলার প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, পিবিআই পুলিশ তদন্তে সড়ক বিভাগের জমিতে ব্যক্তিগত মার্কেট তথা দোকান-পাট নির্মাণের ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে দখলে ১৭ জন ব্যক্তি জড়িত বলে তাদের নাম-ঠিকানাও উল্লেখ্য করা হয়।

আদালতের নির্দেশক্রমে সড়ক ও জনপথ বিভাগ উল্লেখিত সরকারি জমি উদ্ধারে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় ওই অভিযানে গরুবাজার (একতাবাজার) এলাকার মহাসড়কের পশ্চিম অংশের মোট ৫৬টি অবৈধ দোকান-পাট উচ্ছেদের মাধ্যমে বেহাত হওয়া অন্তত তিন কোটি টাকা মূল্যের আড়াইশ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছে।