র‍্যাব ও তার শীর্ষ ৬ কর্মকর্তা ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
র‍্যাব ও তার শীর্ষ ৬ কর্মকর্তা ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

র‍্যাব ও তার শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‍্যাপিড অ্যাকশন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব) -এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে র‌্যাব-এর সাবেক ও বর্তমান শীর্ষস্থানীয় ৬ কর্মকর্তাও। ‘গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে (১০ ডিসেম্বর) দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা তালিকায় এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলছে, বাংলাদেশ সরকারের মাদকবিরোধী যুদ্ধে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়ে মার্কিন স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে র‌্যাব।

র‌্যাব মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বর্তমান পুলিশ প্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একইসঙ্গে তাকে দেশটিতে প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

একই অভিযোগে ‍যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান আরও পাঁচ কর্মকর্তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা র‌্যাবের অপর পাঁচ কর্মকর্তা হলেন- বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সরকারের নির্বাহী আদেশ ১৩৮১৮–এর আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা এই আদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্তের কথা বলা হয়েছে।

এনজিও’র বরাত দিয়ে মার্কিন রাজস্ব বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, র‌্যাবের বিরুদ্ধে ২০০৯ সাল থেকে ছয় শতাধিক গুম, ২০১৮ সাল থেকে প্রায় ছয় শতাধিক বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।