মামলার শুনানি শেষে আইনজীবীদের ব্রিফিং।
মামলার শুনানি শেষে আইনজীবীদের ব্রিফিং।

ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি সহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিতর্কিত ইউটিউবার মোঃ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ প্রকাশ ওরফে নাহিদ হেলালকেও আসামি করা হয়েছে।

আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক অতিরিক্ত জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসান মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন। এই সময় বিপুলসংখ্যক আইনজীবী শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এএসএম বদরুল আনোয়ার। পিটিশন মামলার নং ৩০৯/২১ (চট্টগ্রাম)। 

মামলার বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন আদালত।

মামলার যা অভিযোগে বলা হয়

উপমহাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) ও সাবেক তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি এবং তাঁদের জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিগত ০১/১২/২০২১ ইং তারিখে আসামিদ্বয় ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক ও ব্যক্তিগত ভাবে অপমান অপদস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীলভাবে এবং নারীবিদ্বেষী ভিডিওটি প্রকাশ ও প্রচার করেছেন। যা সার্বিকভাবে জিয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক। শিষ্টাচার বহির্ভূত এই ভিডিওটি দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ, অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। দেশের আপামর সর্বস্তরের জনসাধারণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে দেশে ব্যাপক আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের পর তাঁকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এরই মধ্যে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। একই সঙ্গে জামালপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদও হারান।

গত বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের ফ্লাইটে দুবাই হয়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তবে তাকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।