বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান

শপথ নেওয়ার আগেই করোনা কেড়ে নিল বিচারপতি নাজমুল আহাসানের প্রাণ

মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শপথ নেওয়ার আগেই মারা গেলেন আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান।

আজ শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ থেকে পদোন্নতি পেয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান আপিল বিভাগে নিয়োগ পান। ৯ জানুয়ারি তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অপর বিচারপতি শপথ নেন। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ওই দিন তিনি শপথ নিতে পারেননি।

৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে নতুন বিচারপতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জানিয়েছিলেন, বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান করোনা আক্রান্ত হয়ে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তার সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি সুস্থ হলে শপথ নেবেন।

এদিকে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান

১৯৫৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন নাজমুল আহাসান। তাঁর পিতার নাম আনোয়ার হোসেন এবং মাতার নাম জাহানারা বেগম। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ অধস্তন আদালতে আইন পেশা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৪ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এবং ২০০৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর আপীল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০১০ সালে তাঁকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৪ এপ্রিল একই বিভাগের স্থায়ী বিচারক হন তিনি।

ভারত ও ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান।

নিয়ানুযায়ী ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা ছিল প্রয়াত এই বিচারপতির।