যৌতুক দাবিতে বিচারক স্বামীর নির্যাতন, বিচার চেয়ে মানববন্ধন
যৌতুক দাবিতে বিচারক স্বামীর নির্যাতন, বিচার চেয়ে মানববন্ধন

যৌতুক দাবিতে বিচারক স্বামীর নির্যাতন, বিচার চেয়ে মানববন্ধন

যৌতুকের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমার ওপর বিচারক স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের অসহযোগিতার প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. ময়না তালুকদার, সহকারী অধ্যাপক ড. কালিদাস, সহযোগী অধ্যাপক ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. চন্দনা রানী বিশ্বাস, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সদস্যরা অংশ নেয়।

জানা গেছে, কানিজ ফাতেমা সংস্কৃত বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালে সহকারী জজ নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

স্বামীর হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে ফাতেমা বলেন, ২০২১ সালে জুডিশিয়ারি আবাসন প্রকল্পের নাম করে ১০ লাখ টাকা চায় নজরুল ইসলাম। তার চক্রান্ত ছিল আবাসন প্রকল্প দেখিয়ে বেতন বাড়ানো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমার পরিবারের কাছ থেকে টাকা চায়। টাকা দিতে না পারলে আমার ওপর জঘন্য রকমের নির্যাতন শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৯ আগস্ট সে আমার কাছে জমির দলিল চেয়ে বসে। পরদিন সকালে সে আমাকে ১০ লাখ টাকা ওইদিনের মধ্যে আদায় করতে বলে। অন্যথায় সে আমাকে তালাক দেয়ার ভয় দেখায়। অসম্মতি জানালে সে আমাকে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুলিশ আমাকে আপোস করার পরামর্শ দেন। এত নির্যাতনের শিকার হয়ে কীভাবে আপোস করা যায়, আপনারা বলুন। একজন বিচারকের অন্যায়ের প্রতিবাদে আজকে আমাকে এখানে এসে আন্দোলন করতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তিনি বলেন, একজন বিচারকের যৌতুকের চাহিদা মেটাতে না পেরে আমার ওপর এই অমানুষিক নির্যাতন হয়েছে। আমি আপনার কাছে তার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা ড. চন্দনা রানী বিশ্বাস বলেন, নির্যাতনের দুইদিন পর ফাতেমা আমাদের কাছে এলে আমরা তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পাই। তার গলায় এখনও নির্যাতনের ফলে সৃষ্ট ক্ষত রয়েছে। তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তাতে সে মরেও যেতে পারত।