সুপ্রিম কোর্ট এবং জায়েদ খান, নিপুণ আক্তার (ইনসেটে)
সুপ্রিম কোর্ট এবং জায়েদ খান, নিপুণ আক্তার (ইনসেটে)

নিপুণ-জায়েদকে চেম্বার কোর্টের আদেশ কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ ও স্থিতাবস্থা নিয়ে চেম্বার আদালতের আদেশ কঠোরভাবে (স্ট্রিকলি) অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে জায়েদ খানের করা আদালত অবমাননার অভিযোগের ওপর আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১৪ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদনটি ৪ সপ্তাহের জন্য মুলতবি রাখা হয়েছে (স্ট্যান্ড ওভার)। আদালত বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে কেউ চাইলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে পারবেন।

আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম ও নাহিদ সুলতানা যুথী। নিপুণ আক্তারের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট রোকনউদ্দিন মাহমুদ।

আদেশের পর জায়েদের আইনজীবী আহসানুল করীম বলেন, চেম্বার জজ যে আদেশ দিয়েছেন সেটা স্ট্রিকলি ফলো করতে বলেছেন। এর ফলে স্থিতাবস্থার আগে জায়েদ খান অফিসে বসেছিল এবং সে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। সুতরাং স্থিতাবস্থা অনুযায়ী স্ট্রিকলি ফলো করতে বলা হয়েছে, জায়েদ খান এই চেয়ারে কন্টিনিউ করবেন।

তবে নিপুণ আক্তারের আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, নিপুণ চেয়ারে আছেন, থাকবেন।

প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জায়েদ খানই এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে থাকবেন বলে জানানো হয়।

জায়েদের রিটে জারি করা রুল যথাযথ করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে শপথ নেন জায়েদ খান।

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। এছাড়া নিপুণকে লিভ টু আপিল করতে বলে ৪ এপ্রিল শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা দেন।

ওই দিন সন্ধ্যায় নিপুণ চেয়ারে বসেন বলে গণমাধ্যমে খবর আসে। এরপর সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে বসায় নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেন জায়েদ খান।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে, তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ আক্তার।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বিষয়টি ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে আসছেন জায়েদ খান।