বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বৈবাহিক ধর্ষণ: আদালতের রায় বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা 
ফাইজুল ইসলাম

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বৈবাহিক ধর্ষণ: আদালতের রায় বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা 

ফাইজুল ইসলাম: ধর্ষণ হল এক ধরনের যৌন নিপীড়ন যার মধ্যে সাধারণত যৌন সংসর্গ বা যৌন অনুপ্রবেশের অন্যান্য রূপ সেই ব্যক্তির সম্মতি ছাড়াই একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পাদিত হয়।  এই কাজটি শারীরিক বল, জবরদস্তি, কর্তৃত্বের অপব্যবহারের মাধ্যমে বা বৈধ সম্মতি দিতে অক্ষম এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা হতে পারে, যেমন অচেতন, অক্ষম, বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা বা সম্মতির আইনি বয়সের নিচে। ধর্ষণ শব্দটি কখনও কখনও যৌন নিপীড়ন শব্দটির সাথে বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহৃত হয়।

বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত প্রশ্ন ম্যারিটাল রেপ বা বৈবাহিক ধর্ষণ। ধর্ষণের সাথে বিবাহের সম্পর্ক না থাকলেও বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বৈবাহিক ধর্ষণ।  বৈবাহিক ধর্ষণ বলতে স্বামী কর্তৃক এমন আচরণকে বুঝায় যেখানে স্বামী তার স্ত্রীর সম্মতিব্যতীত এবং অনিচ্ছাসত্ত্বেও জোরপূর্বক শারীরিক সংসর্গে লিপ্ত হয়।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “আর তোমরা নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন কর।” (সুরা নিসা–১৯)। আরো ইরশাদ হচ্ছে, আর এক নিদর্শন এই যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী আছে। (সুরা রুম–২১)।

অনেক পুরুষ এখানে প্রশ্ন তুলতে পারেন যে স্ত্রী কর্তৃকও স্বামী এরূপ আচরণের স্বীকার হতে পারেন। কিন্তু আমি সেই বিতর্কে যাচ্ছি না কারণ আমাদের চারপাশে যেসব ধর্ষণের ঘটনা আমরা দেখতে এবং শুনতে পাচ্ছি সেগুলো পুরুষ কর্তৃক ঘটে আসছে।অন্য যেকোনো ধর্ষণের মতই দাম্পত্য ধর্ষণ ঘৃণ্য অপরাধ। দাম্পত্য ধর্ষণের প্রধাণ কারণ হিসেবে উল্ল্যেখ করা যায় সেক্সিজম এবং পুরুষতান্ত্রিকতা। খোলা চোখে দেখলে একটি সাধারণ ধর্ষণ এবং দাম্পত্য ধর্ষণের মধ্যে কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না।

ধর্ষণ কি ও ধর্ষণ প্রমাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপাদান

দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা ব্যাখা করলে আমরা ধর্ষণ প্রমাণের জন্য যেসব উপাদানগুলো দেখতে পাই। দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে যৌন সঙ্গম করলে সেটা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে, যদি নিচের পাঁচটি ঘটনার কোনো একটি ঘটে থাকে।

এক. তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে;

দুই. তার সম্মতি ছাড়া;

তিন. হত্যা বা আহত করার ভয় দেখিয়ে রাজি করিয়ে;

চার. ওই পুরুষ যদি জানেন যে তিনি ওই নারীর স্বামী নন, আর ওই নারী সম্মতি দিয়েছেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, ওই পুরুষ তার আইনসম্মতভাবে বিয়ে করা স্বামী;

পাঁচ. সম্মতি দেওয়া হোক বা না হোক, ওই নারীর বয়স যদি ১৪ বছরের কম হয়। (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বয়সের এই সীমা দেওয়া আছে ১৬ বছর)

সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ধর্ষণের ক্ষেত্রে যৌন সঙ্গম বিবেচনা করার জন্য ‘পেনিট্রেশনই’ (প্রবিষ্ট করা) যথেষ্ট হবে।

ম্যারিটাল রেপ: আদৌ ধর্ষণ কি না?

বেশিরভাগ পুরুষই ধর্ষণ মানতে নারাজ। এমনকি অনেক মহিলাও এটাকে ধর্ষণ হিসেবে মেনে নিবেন না। এর কারণ হচ্ছে ছোটবেলা থেকেই পরিবার থেকে একটা মেয়েকে শেখানো হয় স্বামী হচ্ছে দেবতাতুল্য। তাই স্বামীর বিরুদ্ধে কথা বলতে বেশিরভাগ মহিলাই নারাজি। এটাকে ধর্ষণ  বলে স্বীকার করে নিতে আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। তবে সমাজে সচেতন নারীরা তাদের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা থেকে বের হয়ে আসছেন।

বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে তালিকাভূক্ত করা কি আদৌ দরকার?

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈবাহিক ধর্ষণ 

আমাদের দেশের আইনে বৈবাহিক ধর্ষণ নামের অপরাধের বর্ণনা দেয়া হয়নি। ধর্ষণ সংক্রান্ত ধারা হচ্ছে দন্ডবিধি ১৮৬০’র ৩৭৫, ৩৭৬ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০’র ধারা ৯। দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা বলছে, যদি কোনো বিবাহিত মেয়ের বয়স ১৩ বছরের কম না হয় তাহলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর যৌনসঙ্গম ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না৷ এছাড়া দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নারী বা মেয়েকে যদি তার স্বামী ধর্ষণ করেন, আর ওই নারী বা মেয়ের বয়স যদি ১২ বছরের কম হয় তাহলে স্বামীর শাস্তি হবে৷ আবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারার ব্যাখ্যায় বৈবাহিক ধর্ষণ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি৷

কিন্তু এই ধারা গুলোর কোথাও বৈবাহিক ধর্ষণের কথা বলা হয় নি, সুতরাং এর শাস্তির বর্ণনা দেয়া তো দূরের ব্যাপার। বরং দন্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারায় রেপের সংজ্ঞা থেকে বৈবাহিক ধর্ষণ ব্যাপারটাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের বর্ণনা দিতে গিয়ে ৫ রকম উপাদানের কথা বলা হয়েছে। একটা দৃশ্যে বলা আছে একজন ব্যাক্তি যদি তার স্ত্রীর সাথে শারীরিক সংসর্গে লিপ্ত হয় যার বয়স কিনা ১৩ বছরের কম না সেই ক্ষেত্রে তা কখনো ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না।

সুতরাং এখানে ১৩ বা তার অধিক বয়সের স্ত্রীর সাথে যেকোন পরিস্থিতিতে এমনকি সম্মতি ব্যতীত যৌনসহবাসকেও ধর্ষণ বলে গণ্য করা হচ্ছে না। এদিক থেকে আমাদের দেশের আইনে বৈবাহিক ধর্ষণ থেকে স্বামীকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে Domestic Violence (Prevention and Protection) Act প্রণয়ন করে যেখানে ৩(গ) ধারায় Sexual Abuse’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু যার কোন সুস্পষ্ট সংজ্ঞা, উপাদান বর্ণনা করা হয় নি।

বিবিএস-এর জরিপ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শতকরা ২৭ ভাগ বিবহিত নারী বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার৷

জাতিসংঘ হিউম্যান রাইটস কমিশন ১৯৯৩ সালে বৈবাহিক ধর্ষণ অর্থাৎ ম্যারিটাল রেপকে মানবাধিকার লংঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। দুই হাজার বিশ সালের শেষ প্রান্তে এসেও বর্তমান বাংলাদেশ “ম্যরিটিয়াল রেপ” নামক বিষয়টির সাথে সাধারণ মানুষের কোন পরিচয় নেই অথবা রাষ্ট্রীয়ভাবে এই আইন কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি সেটি বিশেষভাবে বোঝা জরুরি।

ম্যারিটাল রেপ বা বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে রায় পর্যালোচনা 

Vishaka Vs. State of Rajsthan, AIR, 2005 মামলায় বলা হয় “ধর্ষণের ক্ষেত্রে নারীর সম্মতি না নিয়েই জোরপূর্বক যৌনাচার হলে ধর্ষণ হবে।”

Anzyban vs State of Kerala, AIR 2009 বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলায় বৈবাহিক ধর্ষণকে যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ বলে রায় দিয়েছিল কেরল হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চে ২ বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত নয়। যদিও এই বিষয়টিকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের পর্যায়ে ফেলা হয়’। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘শরীরই হোক কিংবা আত্মপরিচয়, স্ত্রীর কোনও কিছুর উপরই কর্তৃত্ব চালাতে পারেন না স্বামী। স্ত্রী-শরীরকে স্বামী যদি নিজের সম্পত্তি ভাবেন এবং তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাহলে সেটা বৈবাহিক ধর্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়’।

Amir Mehmud VS state, AIR, 2018 মামলায় বিচারপতি রাজীব শাকধের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন স্বামী হোক বা অন্য কেউ, ধর্ষণের অপরাধ সবার ক্ষেত্রেই সমান হওয়া উচিত। আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অপরাধ বলে গণ্য করা না হলেও, একাধিক যুক্তি দিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন স্বামীকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করতে আইনে কোনও বাধা নেই।

বিচারপতি রাজীব শাকধের কী কী যুক্তি দিলেন?

১. আইনের ৩৭৫ ধারায় ব্যতিক্রম রয়েছে। স্বামী যদি ১৮ বছরের কম বয়সী স্ত্রী-কে যৌনতায় বাধ্য করে, তাহলে সে ক্ষেত্রে এই ব্যতিক্রম প্রযোজ্য। তবে তা ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে না। ব্যতিক্রম এই কারণেই রাখা হয়েছে, যাতে স্ত্রী-কে যৌনতায় বাধ্য করলে স্বামীকে সম্পূর্ণভাবে ধর্ষণের শাস্তি না দেওয়া হয়। কিন্তু ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন একজন মহিলাকে হেনস্থা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। আর তাতে যদি একজন স্বামী ছাড় পান, তাহলে অভিযুক্তকে ছাড় দেওয়া হয়ে যায়।

২. নতুন করে কোনও অভিযোগকে তখনই অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হয়, যদি অপরাধের পরিস্থিতি বদলে যায়। সেই অভিযোগের পরিধির মধ্যে যদি একজন স্বামী পড়েন, তাহলেও ব্যতিক্রম প্রযোজ্য হবে।

৩. ধর্ষণের মূল আইনে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণীর মধ্যে কোনও নির্দিষ্ট সম্পর্কের কথা বলা হয়নি। একজন অপরিচিত পুরুষ থেকে শুরু করে লিভ-ইন পার্টনারও এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন। স্বামীর কথা আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে পরে।

৪.  যে কোনও অপরাধ সংক্রান্ত আইনে অভিযুক্ত বা অপরাধীর সঙ্গে অভিযোগকারিণীর সম্পর্ক খতিয়ে দেখা হয় না। অপরাধ কী, সেটাতেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। শাস্তিযোগ্য অপরাধে শাস্তি দেওয়ার কথাই বলা আছে আইনে, সম্পর্ক যাই হোক না কেন।

১৩ বছরের নিচের বয়সের স্ত্রীর সম্মতির বিপক্ষে সংগম করাই ধর্ষণ। কিন্ত বিচারপতি R.R Madhoban, Pursiyat Boishwa vs State of Karnataka মামলায় মন্তব্য করেন,”আইনত যৌনকর্মীরা না বলতে পারেন, বিবাহিত মহিলারা নন।”

বিবাহিত (প্রধান বা অপ্রাপ্তবয়স্ক) বা অবিবাহিত যে কোনও মহিলার সাথে জোরপূর্বক বা অসম্মতিমূলক যৌন কার্যকলাপ বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।

Nimesh Varotvai Desai Vs  State Of Guzrat (2018) মামলায় গুজরাট হাইকোর্ট “বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌন মিলনের জন্য মহিলার বিনামূল্যে সম্মতিকে অগ্রাধিকার দেয় এবং জোর দিয়েছিল যে বৈবাহিক সম্পর্কের ‘উহ্য সম্মতি’-এর ধারণা পরিত্যাগ করা হবে৷”

তবে ধর্ষণের অপরাধের জন্য স্বামীকে অভিযুক্ত করাকে কীভাবে ধর্ষণের জঘন্য কাজের চেয়ে বিবাহের জন্য আরও বেশি বিঘ্নকারী হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে তা ধারণা করা কঠিন (যেমন ভার্জিনিয়ার সুপ্রিম কোর্ট ওয়েইশাপ্ট বনাম ভার্জিনিয়া, ১৯৮৪-এর ক্ষেত্রে হাইলাইট করেছিল  যখন বৈবাহিক ধর্ষণকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়)।

পরিশেষ

বাংলাদেশে বৈবাহিক ধর্ষণকে পুরোপুরি অপরাধী করা হয় না।  এটি অবশ্যই নারীর বিরুদ্ধে একটি সত্যিকারের অন্যায় এবং সরকারের বিবেচনার যোগ্য।  যে মহিলারা তাদের স্বামী  দ্বারা ধর্ষিত হয় তারা বিভিন্ন আক্রমণের দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং প্রায়শই দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক এবং উত্সাহী সমস্যা সহ্য করে।

এই নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, বৈবাহিক ধর্ষণ একজন মহিলার জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে আরও ভয়ঙ্কর কারণ তাকে তার আক্রমণকারী সাধারণের সাথে থাকতে হবে।  বৈবাহিক ধর্ষণের ফলাফল সত্যই উচ্চ হওয়ায়, বৈবাহিক ধর্ষণের অপরাধকে অপরাধীকরণের জন্য স্পষ্টতই একটি গুরুতর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সর্বোপরি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পালটানোটা খুবই জরুরী। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে স্ত্রীকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করার জঘন্য প্রথা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আর নারীর ক্ষমতায়ন ব্যাপারটাও গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।

লেখক: ফাইজুল ইসলাম; শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র

১. Dhaka Tribune, 25 May,2020

২. https://www.tbsnews.net/thoughts/declare-marital-rape-illegal-174307

৩. https://archive.dhakatribune.com/bangladesh/2020/11/25/মারিতাল-রাপে-হারদল্য-চন্সিদেরেদ-আ-চ্রিমে

৪. https://www.aarcentre.com/ojs3/index.php/jaash/article/view/239