সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় জিতলেন জনি, পাচ্ছেন ক্ষতিপূরণও

চার বছর ধরে চলা নাটকীয়তার অবসান হলো অবশেষে। সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় নিজের পক্ষেই বেশির ভাগ রায় পেয়েছেন জনি ডেপ। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি আদালত এ রায় দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

২০১৭ সালে বিচ্ছেদ হয় এই দুই তারকার। পরের বছরই জনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন হার্ড। এরপরই সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জনি।

আদেশে জনির বিরুদ্ধে আনা হার্ডের পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগকে সাজানো বলে উল্লেখ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে জনিকে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জনির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনার পেছনে হার্ডের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল বলেও জানিয়েছেন আদালত।

ক্ষতিপূরণ দিতে হবে জনির আইনজীবীকেও। জনির বিরুদ্ধে আনা হার্ডের নির্যাতনের অভিযোগকে অভিনেতার আইনজীবী ধাপ্পাবাজি বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। আদালত এ বিবৃতিকে অবমাননাকর বলে জনির আইনজীবীকেও ২০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সাত সদস্যের জুরি রায় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালতের বাইরে ‘জনি, জনি, জনি’ বলে চিৎকার ও স্লোগান ওঠে।

জনি পূর্বনির্ধারিত কাজের প্রতিশ্রুতির কারণে আদালতে ছিলেন না। জনি ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী জেফ বেকের সঙ্গে তিনটি কনসার্টে অভিনয় করেছেন। রায় প্রসঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে জনি বলেন, ‘জুরি আমাকে আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি সত্যিই নির্দোষ।’
সঙ্গে ল্যাটিন ভাষায় জনি যোগ করেন, ‘সত্য কখনো বিনষ্ট হয় না।’

জনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, সত্য বলার জন্য আমার অনুসন্ধান অন্যদের সাহায্য করবে, পুরুষ বা নারী, যারা আমার পরিস্থিতিতে নিজেকে খুঁজে পেয়েছে, তারা কখনোই হাল ছেড়ে দেয় না।’

রায় ঘোষণার পর আদালতে চুপচাপ বসে ছিলেন হার্ড। এ সময় তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে আমি মামলাটিতে হেরেছি। অন্য নারীদের জন্য এ রায়ের অর্থ কী, তা নিয়ে আমি আরও বেশি হতাশ। এটি একটি ধাক্কা।’ এই মামলার বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান হার্ডের আইনজীবী।

ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফেয়ারফ্যাক্স ভার্জিনিয়ার আদালত জনি ও হার্ডের মামলার বিশদ বর্ণনা শুনেছে, যা টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এবং যা এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিলিয়ন ভিউ হয়েছে।

২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক নিবন্ধে সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন হার্ড। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করেন জনি। পরে হার্ড ১০০ মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন।

২০১১ সালে একটি ছবির শুটিংয়ের সময় জনি ও হার্ডের প্রেম শুরু হয়। ২০১৫ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। দুই বছর পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।

সূত্র: প্রথম আলো