শুধু বয়স-শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় দণ্ডিত আসামিকে জামিন নয় : সুপ্রিম কোর্ট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

আদালতের সঙ্গে প্রতারণা: এক কোটি টাকা জরিমানা আদায়

আদালতের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে এফএমসি ওটু (O₂) লিমিটেড নামক কোম্পানির কাছ থেকে এক কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগে টাকা পরিশোধের রশিদ জমা দেওয়া হয়। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। কোম্পানিটির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এফএমসি ওটু কোম্পানিকে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে ঋণখেলাপি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় মর্মে ঘোষণা চেয়ে পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা করে কোম্পানিটি। আদালত তাদের মামলাটি খারিজ করে দেন।

বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন দায়ের করা হয়। সিভিল রিভিশনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর সিআইবির রিপোর্ট স্থগিত করে দেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।

হাইকোর্টে মামলা শুনানির ধারাবাহিকতায় গত ৩ মার্চ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে কোম্পানিটি। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করেন।

পাশাপাশি কোম্পানিকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার কারণ হিসেবে রায়ে বলা হয়, বিচারিক আদালতে আইন অনুযায়ী মামলাটি পরিচালনা না করে তারা ৪ বছর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের অপব্যবহার করেছে।

এরপর গত ৮ মার্চ হাইকোর্টের জরিমানার রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে কোম্পানিটি। আপিল বিভাগ জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ ১ কোটি জরিমানা পরিশোধ করা হয়।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। তিনি বলেন, টাকা পরিশোধের রশিদ জমা দেওয়ায় আদালত কোম্পানির আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।