স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জেল-জরিমানা
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল

স্ত্রী নির্যাতন মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের আড়াই বছরের কারাদণ্ড

ফরিদপুরে স্ত্রীর করা নারী নির্যাতনের মামলায় এক পুলিশ পরিদর্শককে ২ বছর ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ফরিদপুর জেলা নারী ও শিশু বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকালে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামি হলেন- পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দোহাকে (৪০)। রায় ঘোষণার সময় পুলিশ কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা আদালত উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপিনাথ গ্রামের নুরুদ্দিন আহমদের পুত্র।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মো. আবু জাফর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার খন্দকার ফারুক আহমেদের কন্যা ফারজানা খন্দকার তুলির সঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহার বিয়ে হয়।

২০১৯ সালের নভেম্বর স্ত্রীর কাছে যৌতুক চান স্বামী। না দেওয়ায় মারধর করেন। তিনি চাকরিতে পদোন্নতির জন্য ৭০ লাখ টাকা চান স্ত্রীর কাছে। সে সময় তাকে ১৫ লাখ টাকা দেন স্ত্রীর বাবা। কিন্তু তিনি তাতে খুশি হননি। নির্যাতন বাড়তে থাকে।

পরে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাবার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। ছেলের মা হন। এখন ছেলের বয়স দুই বছর। পরিদর্শক সন্তানের মুখ দেখেননি বলেও মামলায় অভিযোগ করেন স্ত্রী।

চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বর্ণিত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি, মারপিট ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী।

মামলার পর ঢাকার গুলশান থানা পুলিশ যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিট ও নির্যাতনের অপরাধে দায়ের করা মামলায় রায়েরবাজার এলাকা থেকে পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহাকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় পাঠিয়ে দেন।