আসামির পলায়ন (প্রতীকী ছবি)
আসামির পলায়ন (প্রতীকী ছবি)

জামিন না পেয়ে আদালতের কাঠগড়া থেকে আসামির পলায়ন

নরসিংদীতে আদালতের কাঠগড়া থেকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশপ্রাপ্ত এক আসামি পালিয়ে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাহিদুর রহমান নাহিদের এজলাস থেকে ওই আসামি পালিয়ে যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ওই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করেনি। তিনি নিজেই আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিলে তিনি সবার নজর এড়িয়ে আদালতকক্ষ থেকে পালিয়ে যান।

ওই আসামির নাম মো. নজরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার চরবাঘুয়া গ্রামের মো. আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। জাল নোটসংক্রান্ত একটি মামলায় জামিনে থাকা নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদীর আদালতে হাজিরা দিতে আসেন।

সবার নজর এড়িয়ে কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। আদালতকক্ষে অবস্থান করা পুলিশ সদস্য ও আইনজীবীরাও কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আদালত পুলিশ বলছে, ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জাল নোটসংক্রান্ত একটি ঘটনায় মনোহরদী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় একমাত্র আসামি ছিলেন তিনি। এর আগেও কয়েক দফা আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন বহাল ছিল তাঁর।

ওই মামলায় তাঁর হাজিরা দেওয়ার তারিখ ছিল বৃহস্পতিবার। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারকের সামনে হাজির হন নজরুল ইসলাম। এ সময় তাঁর আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেন। ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে আদালতের বিচারক তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিচারক আদেশ দেওয়ার পর আদালতের পেশকার তাঁকে কাঠগড়া থেকে নামতে বলেন। এ সময় আদালতকক্ষে অবস্থান করা সবার নজর এড়িয়ে কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। আদালতকক্ষে অবস্থান করা পুলিশ সদস্য ও আইনজীবীরাও কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে কল না ধরায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) আসাদ আলী বলেন, ‘আদালত আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর কাঠগড়া থেকে নেমে এক ফাঁকে তিনি আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান, কেউ টের পাননি। আমি নিজেও কাগজপত্র গোছানোয় ব্যস্ত ছিলাম। যে পুলিশ সদস্য আদালতকক্ষের দরজায় দায়িত্ব পালন করছিলেন, তিনি একজন বয়স্ক ব্যক্তি এবং কানেও কম শোনেন।’

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামসুল আরেফিন জানান, কাঠগড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া ওই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।