শুধু বয়স-শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় দণ্ডিত আসামিকে জামিন নয় : সুপ্রিম কোর্ট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

হাইকোর্টসহ সব অধস্তন আদালতে ২০ এপ্রিল ঈদের ছুটি ঘোষণা

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে হাইকোর্টসহ দেশের সব অধস্তন আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমানের সই করা পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উভয় বিজ্ঞপ্তির ভাষ্যমতে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালতসমূহে আগামী ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

এর আগে ১১ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আগামী ২০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ও ঈদ পরবর্তী অফিস সময়সূচির প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে বলা হয়, সরকার আগামী ২০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

এ ছাড়া ঈদ পরবর্তী সময়ে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা- স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।

এতে আরও বলা হয়, জরুরি পরিষেবাসমূহ নতুন অফিস সময়সূচির আওতা বহির্ভূত থাকবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ব্যাংক, বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নির্বাহী আদেশে একদিন ছুটি বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে ঈদের আগে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরের পরদিন ২০ এপ্রিল থেকেই ছুটি শুরু হবে।

গত ১০ এপ্রিল জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ১৯ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি, সেক্ষেত্রে ২০ এপ্রিল একদিন খোলা থাকে। মানুষের যাতায়াত যাতে নির্বিঘ্ন হয়, তাদের জার্নিটা যেন স্মুথ হয়, সেজন্য নির্বাহী আদেশে এ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ বা ২৩ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদের আগে শবে কদরের ছুটি ১৯ এপ্রিল (বুধবার)। তার পরদিন ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অফিস খোলা। এ একদিন ছুটি থাকলে ২৯ রোজা ধরে পাঁচদিন ছুটির দাবি জানানো হচ্ছিল বিভিন্ন মহল থেকে। মন্ত্রিসভা বৈঠকেও তা আলোচনায় আসে।

একদিন বাড়তি ছুটি ঘোষণা করায় রোজার ওপর ভিত্তি করে এবারের সরকারি ছুটি পাঁচ বা ছয়দিন হবে।