সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি লাগবে কি না, রায় কাল
সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ

রোগীর চিকিৎসায় রাঁধুনি-মালি-ওয়ার্ড বয়, তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার কাজ রাঁধুনি, মালি, ওয়ার্ড বয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে করানোর অভিযোগে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মঙ্গলবার (১৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আনসারী এ রিট দায়ের করেন। আজ বুধবার (১৭ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানির কথা রয়েছে।

রিটে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার কাজ রাঁধুনি, মালি, ওয়ার্ড বয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দিয়ে চিকিৎসায় সার্জারির কাজ করানোর মতো অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িতদের তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), কুড়িগ্রামের সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন ও কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসককে বিবাদী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পরিচ্ছন্নকর্মী, রাঁধুনী, মালি ও স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্জারি ওয়ার্ড চলছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসকের সঙ্গে সার্জারিতে অংশ নিয়ে আসছেন অবসর নেয়া পরিচ্ছন্নকর্মী রবি দাস। শুধু অপারেশন থিয়েটার নয়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও তিনি সার্জারির কাজ করে আসছেন নিয়মিত।

তার মতো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগসহ অপারেশন থিয়েটারে সার্জারির কাজ করেন নিয়মিত রাঁধুনি, মালি, পরিচ্ছন্নকর্মীসহ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। এ কাজ করে রোগীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ড বয় পদে কেউ না থাকায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চলছে জোড়াতালি দিয়ে।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে বিষয়টি স্বীকার করেন জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত থাকা দুজন স্বেচ্ছা সেবক।

জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবক দেলোয়ার হোসেন ও মিজান জানান, জরুরি বিভাগে কাজ করার মতো কেউ না থাকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করছেন। তাদের হাসপাতাল থেকে লিখিত কোনো কাগজ দেয়া না হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ইচ্ছায় তারা এ কাজ করছেন বলে জানান। কাজ করার পর রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয় কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তারা কোনো উত্তর দেননি।