দেশে বর্তমানে শিশু শ্রমে নিয়োজিতের সংখ্যা কমলেও তা প্রায় অর্ধ কোটির কাছাকাছি। যে খাতগুলোতে শিশুশ্রম রয়েছে, সেগুলো সুনির্দিষ্ট করে পদক্ষেপ নেওয়া গেলে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘শিশুশ্রম নিরসনে ট্রেড ইউনিয়ন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় শনিবার (২২ জানুয়ারি) বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কাউন্সিল ও লেবার রাইটস সাংবাদিক ফোরাম (আইটিইউসি) সভাটির আয়োজন করে।
সভায় বক্তারা বলেন, আগে দেশে শিশু শ্রমের যে অবস্থা ছিল, তা এখন অনেক কমেছে। তারপরও বর্তমানে দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪৭ লাখ। নয়তো সবার জন্য এটি অভিশাপ হিসেবেই থেকে যাবে। শিশুশ্রম বন্ধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সভায় বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, এক সময় শিশু শ্রমের যে করুণ অবস্থা ছিল, তা এখন অনেক কমেছে। বিশেষ করে ঢাকার শ্রমঘণ যে এলাকা, সেখানে এখন আর আগের অবস্থা নেই। তবে এখনও যেগুলো আছে, সেগুলো নিরসনে কী করা যায় তা সুস্পষ্ট করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আর সরকারকেও এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা এখানে সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমরা পরিবহন খাতে কোনো শিশু শ্রমিক দেখতে চাই না। কিন্তু এখনও পরিবহন খাতে বহু শিশুশ্রমিক দেখা যায়, বিশেষ করে লেগুনাগুলোতে। পরিবহন খাত শিশুশ্রম মুক্ত করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কাজ করতে হবে। কোনো পরিবহনে হেলপার ও ড্রাইভার হিসেবে যেন কোনো শিশু না থাকে, সে বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা যে টাকা উপার্জন করে, সে পরিমাণ অর্থ দিয়ে তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে পাঠাতে হবে।
আইটিইউসি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, কোন শিশুর উদ্ভাবন চিন্তা কেমন, তা আমরা বলতে পারি না। তাদের মেধা বিকাশে যদি আমরা সাহায্য করি, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে এবং শিশুশ্রম দূর হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন লেবার রাইটস সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবদুল হান্নান, সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ বাদল প্রমুখ।