বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৩ শতাংশ স্থান সংরক্ষণ করে বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ প্রদান না করার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কতজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক আবেদন শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কত টাকা গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, এ বিষয়ে তথ্যও আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৯(৪) ধারা মতে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছর ৩ শতাংশ স্থান সংরক্ষণ করে বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ প্রদান না করা এবং ধারা ৯(৬) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত অর্থ গবেষণার জন্য ব্যয় না করার কারণে সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে, তা জানতে চেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ রুল জারি করেছেন।