পুলিশের ছেলে হত্যা মামলায় আসামি পুলিশ, তদন্তে পিবিআই
গুলি খাওয়ার পর ইমাম হাসান তাইম (ছবি: সংগৃহীত)

পুলিশের ছেলে হত্যা মামলায় আসামি পুলিশ, তদন্তে পিবিআই

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে নির্বিচার গুলিবর্ষণে নারায়ণগঞ্জ আদমজী নগর এম ডব্লিউ কলেজের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান তাইমকে হত্যার অভিযোগে ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদের আদালতে ওই শিক্ষার্থীর মা পারভীন আক্তার এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

নিহত তাইম রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- ওয়ারী বিভাগের এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম, এসি তানজিল আহমেদ, যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন ও এসআই শাহাদাৎ আলী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, কোটা আন্দোলন চলাকালে সরকার গত ২০ জুলাই কারফিউ জারি করে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা খেতে যায়। ওই সময় কিছু কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিল।

তখন ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীয়রা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। প্রাণ ভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করতে থাকে। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের সাটার টেনে দেয়।

কিন্তু সাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিল। সেখানে অবস্থানকারীদের পুলিশ টেনে বের করে। জাকির হোসেন গুলির থেকে বাঁচতে চাইলে দৌড় দিতে বলে। তখন তাইম সবার আগে দৌড় দেয়। জাকির গুলি করে। বিনা চিকিৎসায় তাইম সেখানেই মারা যায়।