আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ

আদালত অবমাননা মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল গণি টিটো

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলমের পক্ষে আদালত অবমাননা মামলায় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে অ্যাডভোকেট আমিনুল গণি টিটোকে নিয়োগ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন ২০২৫) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদবিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী

অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

এর আগে মামলার স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

মামলার প্রেক্ষাপট

গত ৩ জুন ছিল আলোচিত এই আদালত অবমাননা মামলার শুনানির নির্ধারিত দিন। এ মামলার পটভূমি এক অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বরের মতো শোনা যায়, যেখানে বলা হয়:

“২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থা নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে—এই অভিযোগ এনে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

আদালতে হাজির না হওয়া

মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও শাকিল আলমকে ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা নির্ধারিত তারিখে হাজির হননি, এমনকি কোনো আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি

পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির নামে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়।

গত ১ জুন দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, যেখানে ৩ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়।

এর পরও তারা হাজির না হওয়ায় আদালত রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী নিয়োগের আদেশ দেন।