গরু ও খাসি ‘ওজন ভিত্তিক’ বিক্রি বাধ্যতামূলক করার দাবিতে আইনি নোটিশ

গরু ও খাসি ‘ওজন ভিত্তিক’ বিক্রি বাধ্যতামূলক করার দাবিতে আইনি নোটিশ

বাংলাদেশে ধর্মীয় উৎসব বিশেষ করে ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশু (গরু ও খাসি) সাধারণত ওজন ছাড়াই দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করা হয়। এতে সাধারণ জনগণ প্রতারণার শিকার হন এবং ন্যায্য মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হন। এই অবস্থার পরিবর্তনে ‘ওজন ভিত্তিক’ বিক্রি বাধ্যতামূলক করার দাবিতে একটি আইনি নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৩০ জুন) রেজিস্ট্রি ডাক ও ই-মেইলের মাধ্যমে এই আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মাহমুদুল হাসান।

আইনি নোটিশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিএসটিআই-এর চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, মাছ ও মুরগি ওজন অনুযায়ী বিক্রি হলেও কোরবানির পশুতে এখনো পর্যন্ত ‘লাইভ ওয়েট’ বা জীবিত ওজনের ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়নি। ফলে, মূল্য নির্ধারণ নিয়ে দরকষাকষি হয় এবং সাধারণ মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠকেন।

ইসলামে ওজন নির্ধারণ করে সঠিকভাবে পণ্য বিক্রির উপর জোর দেয়া হয়েছে। যেমন: ফেতরার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল বা আটা ওজন করে দান করার নির্দেশনা রয়েছে।

এ প্রেক্ষাপটে গরু ও খাসি ওজন ভিত্তিক বিক্রি করা ইসলামি মূল্যবোধ, ভোক্তা অধিকার এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

নোটিশে দাবি করা হয়েছে, প্রত্যেক হাটে বিএসটিআই অনুমোদিত ডিজিটাল ওজন যন্ত্র স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং পশুর দাম ওজনে নির্ধারণ করতে হবে।

এই বিষয়ে ১০ (দশ) দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।