নোয়াখালীর হাতিয়া থানাধীন চরঈশ্বর ইউনিয়নস্থ ভাসানচর

রোহিঙ্গাদের আবাসনে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আবাসনে ২ হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১১তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, নোয়াখালীর হাতিয়া থানাধীন চরঈশ্বর ইউনিয়নস্থ ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন গড়া হবে। এ প্রকল্পের নাম ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-৩’।

একনেক অনুমোদিত প্রকল্পে উল্লেখ রয়েছে, রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১ লাখের জন্য আবাসন গড়া হবে। একইসঙ্গে দ্বীপের নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা হবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো।

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে দলে দলে প্রথমবার পালিয়ে আসে ১৯৭৮ সালে। তখন তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তিস্বাক্ষর হয়। এর অধীনে ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ফিরে গিয়েছিল।

১৯৯২ সালে আবার দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। ওই সময় তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে আরেকটি সমঝোতা হয়। এর অধীনে ১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা ফিরে যায় মিয়ানমারে।

২০১২ সালে রাখাইনে জাতিগত দাঙ্গা এবং ২০১৬’র অক্টোবর ও এ বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বর্বরোচিত নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ছাড়িয়ে গেছে ১০ লাখ।