Members of Civil Society light candles and earthen lamps to condemn the rape and murder of 7-year-old girl Zainab Ansari in Kasur, during a candlelight vigil in Islamabad, Pakistan January 11, 2018. REUTERS/Faisal Mahmood

পকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে জয়নাবসহ ৮ শিশুর পরিবারের ন্যায়বিচার দাবি

কাসুরে ২০১৫ সালের পর থেকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া আট শিশুর মা-বাবা পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়েছেন। আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে তারা এই আবেদন জানান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ন্যায়বিচার প্রার্থনাকারী অভিভাবকদের মধ্যে সম্প্রতি কাসুরে ধর্ষণের শিকার হওয়া ছয় বছর বয়সী শিশু জয়নাবের মা-বাবাও ছিলেন। এদিন আদালতে যৌথ তদন্ত দলের প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে আদালত।

গত ৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) কোরআন ক্লাসে শেষে বাসায় ফেরার পথে পাঞ্জাবের কাসুর শহর থেকে ছয় বছরের শিশু জয়নাবকে অপহরণ করা হয়। ওই সময় বাবা-মা ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে থাকায় খালার কাছে ছিল সে। পরে ৯ জানুয়ারি এক পুলিশ সদস্য শাহবাজ খান রোডে আবর্জনার স্তূপ থেকে জয়নাবের মরদেহ উদ্ধার করেন। ময়না তদন্তে দেখা গেছে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে তাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৫ সালের পর থেকে একইরকমের আরও আটটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিঞা সাকিব নিসারের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জয়নাবের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি করছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) কোর্টে হাজির হয়ে আট শিশুর মা-বাবা ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। আদালতে তারা বলেন, ‘আমাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন’।

মুলতানের আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইদ্রিস যৌথ তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ (রোববার) তদন্তের একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন তিনি। আদালতকে ইদ্রিস জানান, জয়নাবসহ ২০১৫ সাল থেকে একইরকম করে আট শিশু ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে। শুনানির সময় জয়নাব হত্যার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে ডন। বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এক নিষ্পাপ শিশুর ওপর অবর্ণনীয় অপরাধ চালানো হয়েছে।’

আদালতের পক্ষ থেকে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলা হয়, ২০১৫ সালে যদি এই বিষযটিকে পুলিশ গুরুত্ব সহকারে নিতো তাহলে আট শিশুকে বাঁচানো যেত। আঞ্চলিক পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৮০০ সন্দেহভাজনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেবল ডিএনএ পরীক্ষার মধ্যে আটকে না থেকে পুলিশের আরও বিশদ তদন্ত করা প্রয়োজন। যেভাবে তদন্ত চলছে তা চলতে থাকলে ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হবে বলে উল্লেখ করে চলমান তদন্ত প্রক্রিয়া অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম