ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপাল মহারাজ

হত্যা মামলায় ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপালের যাবজ্জীবন

আশ্রমের ভেতর দুই নারীকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন সাজার দণ্ড মিলেছে ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপাল মহারাজের।

হরিয়ানার হিসারের সেশন আদালতে গত সপ্তাহেই তিনি ২৬ অনুসারীসহ খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বলে বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।

বারওয়ালা গ্রামের আশ্রমের ভেতর দুই নারীকে স্বঘোষিত এ ধর্মগুরু ও তার ভক্ত-অনুসারীরা হত্যা করেছিলেন, নিহতদের স্বামীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দুটি হয়েছিল।

হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের বেঁধে রাখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ দুই স্বামীর।

আদালত তার রায়ে হিসারের সাতলক আশ্রমের ভেতর অন্যায়ভাবে লোকজনকে আটকে রাখা, খুন ও অন্যান্য অপরাধে রামপাল এবং তার অনুসারীদের দোষী সাব্যস্ত করে।

হিসারের জেলখানার ভেতর বানানো বিশেষ আদালতে প্রায় চার বছরের বিচার শেষে এ রায় এল। ২০১৪ সালের নভেম্বরে সাতলক আশ্রমের ভেতর থেকে আটক করার পর থেকে হিসারের এ জেলখানাতেই বিতর্কিত এ ধর্মগুরু ও তার অনুসারীরা বন্দি করে রাখা হয়েছে।

সশস্ত্র অনুসারীদের পাথর, লাঠি ও বন্দুক পেরিয়ে ১২ একরের আশ্রমের ভেতর হানা দিয়ে সেবার রামপালকে গ্রেপ্তার করেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। দিনব্যাপী ওই সংঘাতে রামপাল তার ভক্তদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন বলেও জানিয়েছে এনডিটিভি।

রামপাল যে গোষ্ঠীটির ধর্মগুরু, তারা মূলত পঞ্চদশ শতকের কবি কবীরের অনুসারী; যার বার্তা ছিল বিভিন্ন বিশ্বাসের অনুসারীদের মধ্যে সহনশীলতার চর্চা করা।

২০১৪ সালে আশ্রমে পুলিশ অভিযানের সময় হাজারও অনুসারীকে অবৈধভাবে আটকে রাখা এবং কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ থেকে গত বছরের অগাস্টে মুক্তি পেয়েছিলেন এ স্বঘোষিত ধর্মগুরু।

তার আটক ঠেকাতে ভক্ত-অনুসারীরা ‘প্রাইভেট আর্মি’তে রূপান্তরিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধালে ছয়জন নিহত ও কয়েকশ আহত হয়েছিল।