বিক্ষোভের মুখে ছুটিতে বিচারক, প্রত্যাহারের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত

আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরকে দুই দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে প্রত্যাহার করা হবে- এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনরত আইনজীবীরা।

আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নেতারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির দপ্তর সম্পাদক এইচ এম মাসুম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, সমিতির পক্ষে থেকে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এএম জুলফিকার হায়াতের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিচারক আসাদুজ্জামান নূরকে দুই দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

অ্যাডভোকেট মাসুম বলেন, ‘এই বিচারককে (নূর) প্রত্যাহার করা হবে মর্মে সমিতিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আপাতত তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিক আদেশ আসবে-এমন আশ্বাসের পর আইনজীবীরা তাঁদের আন্দোলন স্থগিত করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিএমএম আদালতের বিচার কাজ হয়। এখন বিচারকাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে।

এর আগে বিচারক আসাদুজ্জামান নূরের অপসারণ দাবিতে সিএমএম কোর্টের কলাপসিবল গেইট আটকে আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ করছিলেন আইনজীবীরা। এক আইনজীবীকে আসামির লক আপে দুই ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগে তাঁর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনরত কয়েকজন আইনজীবী জানান, আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ আইনজীবী ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের এজলাস কক্ষ থেকে সবাইকে বের করে তালা দিয়ে দেন।

এরপর তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করলে সিএমএম আদালতের মূল গেইটে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ। ওই বিচারকের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে সিএমএম আদালতের বিচারকাজ বন্ধ থাকে। আদালতের সামনে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার লক আপে আটকে রাখার অভিযোগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করেন ভুক্তভোগী আইনজীবী। ওই আইনজীবীর নাম রুবেল আহমেদ ভুঞা। আবেদনে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।

আবেদনে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার আমি ওই আদালতে মামলা পরিচালনা করতে যাই। এ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন বলে জানান। কিন্তু ১১টার দিকেও বিচারক না ওঠায় বিষয়টি পেশকারের কাছে জানতে চাই। পরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিচারক আমার মামলা না শুনে পরে আসতে বলেন। পরে গেলে আমাকে দুই ঘণ্টা লক আপে আটকে রাখেন এবং বলেন, আমার সনদ বাতিল করে দেবেন এবং সব ম্যাজিস্ট্রেটকে বলে দেবেন, আমার মামলা না শোনার জন্য। আমি বিষয়টিতে চরম অপমান বোধ করছি এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’